পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छभिङभांब्र श्रांझेन-कांशून هو سيا ব্যক্তিত্ত্ব-সুচক অধিকার পায়দা হইত না । সম্পত্তিটা সৰ্ব্বদাই পল্লীর পক্ষে যৌথ ধন। আজ এর হাতে আছে, কাল ওর হাতে যাইতেছে এই পৰ্য্যস্ত। তাতে কেনা-বেচার কথা উঠিতেই পারে না । ১৮৯০-৯১ সনের সমাজ-নিষ্ঠা অন্ত গোত্রের চীজ। এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিপতি, ছোট ভূমিপতি ইত্যাদি প্রভেদ প্রথম স্বীকাৰ্য্য। দ্বিতীয় স্বীকার্য্য হইতেছে জমির কেনা-বেচা । তৃতীয় কথা জমিজমার ব্যক্তিগত স্বত্বাধিকার । এই ব্যবস্থায় হিবলেজ কমিউনিটির যুগের বিলি-প্রখ খাপই খায় না। তবে এই সমাজ-নিষ্ঠাটা দেখা দিতেছে কোন কোন দিকে ? প্রথমতঃ, কোন ব্যক্তি কত পরিমাণ জমির মালিক হইতে অধিকারী সেটা বলিয়৷ দিবার একৃতিয়ার আসিতেছে গবর্ণমেণ্টের (অর্থাৎ সমাজের বা দেশের) হাতে। দ্বিতীয়তঃ এই স্থত্রে বলা যাইতে পারে যে, ভূ-সম্পত্তির উপর ব্যক্তিগত অধিকার গবর্ণমেণ্টের শাসনে অনেক পরিমাণে থৰ্ব্ব হইতেছে। এই হিসাবে গবর্ণমেণ্টকে (অর্থাৎ দেশকে বা সমাজকে ) জমিজমার “নিম-মালিক” বলিলে বলা যাইতে পারে। কিন্তু এ সম্বন্ধে বাড়াবাড়ি করা চলিবে না। এতে সেকেলে “যৌথ-সম্পত্তি’র চিহ্নোৎ কিছু নাই। এর সঙ্গে আজকালকার সোণ্ডালিজম বা সমাজ-তন্ত্র আর কমিউনিজম বা ধন-সাম্য (?) বিষয়ক বস্তু ও দর্শনের যোগাযোগ আছে বটে। কিন্তু গবর্ণমেণ্টের এই যে নিম-মালিকানা একৃতিয়ার অথবা লোকগণের ভূ-সম্পত্তিতে সরকারী শাসনের ব্যবস্থা,— তাকে হিলেজ কমিউনিটির পুনরাবৰ্ত্তন বলিলে ভুল করা হইবে । বুঝিয়া রাখা দরকার যে, বর্তমান জগতের সোণ্ডালিজম, আর কমিউনিজম, জিনিষটার সঙ্গে সেকেলে ধনসাম্যের কোন প্রকার আত্মিক সম্বন্ধ নাই। এ একদম কোরা নতুন চীজ ।