বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՆ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন জমিজমার আইনকান্থনে এতদিন চলছিল রোমাণ-হিন্দু ব্যক্তিনিষ্ঠ । তাকে ভাঙ্গিয়া সমাজনিষ্ঠার, দেশনিষ্ঠার ভূমি-বিধান কায়েম করা হইতেছে জাৰ্ম্মাণজাতির অন্যতম গৌরব। ১৮৯০-৯১ সনে জার্মাণর আর্থিক আইন-কানুনে যে বিপ্লব ঘটাইয়াছে সেই বিপ্লবের যুগে জুনিয়া আজও চলিতেছে এবং আরও অনেক দিন চলিতে থাকিবে। যুবকভারতের সঙ্গে এই আইন-বিপ্লবের যোগাযোগ কায়েম হওয়া আবশ্যক । সেকালের মারাঠা পণ্ডিত মহাদেব_গোবিন্দ রাণাড়ে-১৮৩১-১২ সনের জাৰ্ম্মাণ আইন পৰ্য্যন্ত পৌঁছিয়াছিলেন । সে ত মাত্র ভূমি-গোলামী নিবারণের ব্যবস্থা । ১৮৯০-৯১ সনের জাৰ্ম্মাণ আবিষ্কার ভারতে আজও বোধ হয় একদম অজানা । একালের সমাজ-নিষ্ঠ বনাম সেকেলে হিৰলেজ কমিউনিটি গবর্ণমেণ্ট বড় বড় ভূমিপতিদেরকে নিজের নিকট জমি বেচিতে বাধ্য করিতেছে। সমাজের বা দেশের সমবেত স্বার্থ হইতেছে এই ক্ষেত্রে সরকারের আসল লক্ষ্য। কথাটা শুনিবা মাত্রই মনে হইবে,—বুঝি ব? আবার সেই মান্ধাতার আমলের “হিলেজ কমিউনিটি’ বর্তমান জগতে ফিরিয়া আসিল । জিনিষটা অত সহজ নয় । যে-যে দেশে যে-যে যুগে “হিলেজ কমিউনিটি", পল্পী-সাম্য, পল্পীস্বরাজ, বা যৌথপল্লী নামক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই সকল দেশে আর সেই সকল কালে মাঝে মাঝে সব জমি অথবা কোনো কোনো জমি আগাগোড়া ৰিলি করা হইত। কোনো একজন লোককে বলা হইত না,— তোর জমি আমাদেরকে বেচিতেই হইবে। বিলি করা ছিল সাৰ্ব্বজনিক দস্তর। সেই ব্যবস্থায় কোনো জমিতে কোনো লোকের দাগ দেওয়t