বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ ९ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ^^^^^^^^^^ఆణాu^&*w-లా-టా-**ూ.AP কথায় বলা উচিত অত্যাচার। প্রথম নম্বর,—জমিদারের নিজ নিজ জমি যখন-তখন বেচিতে বাধ্য হইতেছে । দ্বিতীয় নম্বর,—জমির আসল, ন্যায্য দাম প্রায়ই তারা পায় না । তৃতীয় নম্বর,—যে দামটা তাদের প্রাপ্য তাও আবার জুটে হোমিওপ্যাথিক “ডোজে” । বার্ষিক “অ্যানুয়িটি”র বা স্বদের আকারে টাকাটা গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে তাদের ট্যাকে আসিয়া পৌছে। বলা বাহুল্য, টাকাটা উসুল হইতে লাগে বহুকাল। চতুর্থ নম্বর,—কোনো কোনো ক্ষেত্রে, জমিদারদের কোনো কোনো জমি একপ্রকার বেদখলই করা হইয়াছে। এই দফাটা পুরাপুরি বোলশেছিবক কাণ্ড ছাড়া আর কিছু নয়। তবে দাম দেওয়া হয় । এই যা। নয়া নয়। কিষাণ-মালিক । ছোট্ট চাষীর নজরে “জমিদারি-কেনাবেচার কোম্পানী” আর "রেন্ট-বাঙ্ক”গুলা লোকহিতকর প্রতিষ্ঠান সন্দেহ নাই । কিন্তু জমিদারের পক্ষে এইসব চক্ষুশূল । ডেন্মার্কের একপ্রকার জমিদারি একদম তুলিয়াই দেওয়া হইয়াছে। তাতে বসানো হইয়াছে ২,০০০ কিষাণ-মালিক। প্রত্যেকে পাইয়াছে ৪৪।৪৫ বিঘা জমি । এই জমি ছিল গির্জার সম্পত্তি (নাম “গ্নীব”) । আর একপ্রকার জমিদারির বিরুদ্ধে গবর্ণমেণ্টের নজর খুব কড়া। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইয়োরোপের সকল দেশেই একশ্রেণীর নয়। ঢঙের জমিদার দেখা দেয় । এরা আসলে কারখানার মালিক, ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর, ব্যবসা সঙ্ঘের সভাপতি ইত্যাদি জাতীয় লাখপতি বা ক্রোরপতি । অন্তান্ত নবাব জমিদারদের মতন এদের বাতিক চাগিল যে এরাও ভূমিপতি বনিয়া যাইবে। যোজন যোজন বিস্তৃত জমিদারি কিনিয়া এই ধনী মহাজনেরা "বাগান-বাড়ী” কায়েম করিতে থাকিল । সমাজের চোখে, দেশের চোখে, রাষ্ট্রের চোখে এই জমিদারিগুলা আগাগোড়া বিলাস-সামগ্রী, ভূমি-শক্তির অপব্যয় মাত্র। এইখানে একটা পারিভাষিক