বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমিজমার আইন-কানুন సిరి শব্দ ব্যবহার করিতেছি । এই ধরণের জমিদারিকে "ফিডাই-কোমিস” বলে । ডেন্মার্কের গবর্ণমেন্ট “ফিডাই কোমিস" ভাঙ্গিয়া ৪,••• নতুন কিষাণ-মালিক গড়িয়া তুলিয়াছে। প্রত্যেক নয়া “পারিবারিক আবাদের" হিন্তায়ই ৪৪।৪৫ বিঘার বরাদ্দ । এই যে দুরকম জমিদারি লোপ করার কথা বলা হইল তাতেও গবর্ণমেণ্ট জমিদারকে পয়সা দিয়াছে। একদম বিনা পয়সায় কোনো কারবার চলিতেছে না। তবে মনে রাখা আবশু্যক এই যে, অন্তন্তি ক্ষেত্রে জমিদারির “কিয়দংশ মাত্র” গবর্ণমেণ্ট কিনিয়া লইয়াছে । আর এই দুই শ্রেণীর জমিদারি কিনিয়া লইয়া গবর্ণমেণ্ট বলিতেছে,—“ব্যস। এর পরে এই ধরণের জমিদারি আমাদের দেশে আর থাকিবে না। এই ধরণের স্বত্বাধিকার এখানে খতম হইল।” সকল তরফ হইতেই জমিদারদের স্বত্ব থৰ্ব্ব করা হইতেছে। প্রথমতঃ, কতটা জমি কার হতে থাকিবে তার বিচারক গবর্ণমেণ্ট । জমিদার নিজ খেয়াল অনুসারে জমিদারি বাড়াইতে কমাইতে পারিতেছে না। দ্বিতীয়তঃ, জমিদার নিজ ইচ্ছার বিরুদ্ধেও জমিদারি বেচিতে বাধ্য। কাকে বেচিবে, কতটা বেচিবে এই সব কথায় জমিদার আর স্বরাজী নয় । “ট্র্যানসফার অব প্রপার্টি” অর্থাৎ সম্পত্তি-হস্তান্তর বিষয়ে জমিদারের স্বাধীনতা থাটো হইয়া যাইতেছে । তৃতীয়তঃ, বেচা জমির দাম নিৰ্দ্ধারণ আর দাম উসুল সম্বন্ধেও জমিদার একপ্রকার একতিয়ারহীন। বুঝিতে হইবে যে, “কণ্টাক্ট” বা চুক্তির বাজারে জমিদারের ক্ষমতা কমিয়া আসিতেছে। আর চতুর্থত:, কতকগুলা বিশিষ্ট রকমের স্বত্বাধিকার বিলকুল লোপাট হইতেছে। দেশের আইন তা আর মানিতেছেই না।