পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন وا الاج অনেক জায়গায় এমন আকারে দাড়াইয়া গিয়াছে—কি প্রাচ্যে, কি পাশ্চাত্যে,—যে সন্তানের প্রত্যেকেই বাপের সম্পত্তির সমান সমান বখরা পায়। অর্থাৎ ৪৫ বিঘাই হউক, ১২০ বিঘাই হউক বা ১৭৫২৫০ বিঘাই হউক,—এক পুরুষের পর এই “পারিবারিক আবাদ” টুকরা-টুকুর হইয়া যাইতে বাধ্য। রোমাণ আর হিন্দু আইন এই টুকরা-টুকরা হওয়া বা অংশীকরণ ( ফ্র্যাগৃমেণ্টেগুন ) নিবারণ করিতে অসমর্থ। আবার ইয়োরোপে ভারতে সাম্য, সাদৃশু বা ঐক্য। জমিজমা ষে প্রত্যেক পুরুষেই “ক্ষুদ্রাৎ ক্ষুদ্রতরং” হইতেছে এটা একমাত্র “ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার”ই সুগুণ বা দুগুণ নয়। ইয়েরোপের প্রত্যেক দেশই অল্প বিস্তর,—বিলাত বাদে—এই আধ্যাত্মিকতার অতএব তার স্বগুণছগুণের অধিকারী । দুনিয়ার মুসলমান কামুনও এই অংশীকরণকে প্রশ্রয় দিয়া আসিয়াছে। এই আইনে মেয়েরাও হিস্তা পায় । খাটি আইনের হিসাবে কোনো সম্পত্তি যখন-তখন যাকে-তাকে দিয়া যাইবার ক্ষমতাটা বোধ হয় ভালই । তাহ ছাড়া সম্পত্তিটার কোনো কোনো অংশ বেচিবার অধিকার থাকাও খাটি আইনের হিসাবে নিন্দনীয় নয়। তারপর সকল পুত্ৰকস্তার কপালে সম্পত্তির উত্তরাধিকার সমান ভাবে ঘটিলেও অাইনটাকে নেহাৎ খারাপ বিবেচনা করা উচিত কিনা সন্দেহ । ব্যক্তিনিষ্ঠ, স্বাধীনতাপ্রিয় নরনারীর চোখে এই সকল আইন মোটের উপর প্রশংসা-যোগ্য বিবেচিত হইবার কথা । কিন্তু উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীতে আইনের স্বাধীনতা আর রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ছাড়াও মানুষের জীবন-নিয়ন্তা রূপে আর একটা জবর শক্তি দেখা দিয়াছে । আর্থিক উন্নতির পক্ষে কোন ব্যবস্থাটা ভাল, আর কোন ব্যবস্থাটা খারাপ, অতএব তার জন্ত কিরূপ আইন, কিরূপ রাষ্ট্র থাকা উচিত তার চিন্তা “শিল্প-বিপ্লবের” যুগে এক বড় ও গভীর চিন্ত