বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छभिछमांब्र यांहेन-कांकून >ፃ দেখিতে পাইতেছি যে, ডেন্মার্কে ৪৫ বিঘা জমি না থাকিলে, কোনো “পাচমুখী" বা “পঞ্চানন” পরিবার ভাতকাপড় জুটাইতে অসমর্থ। জাৰ্ম্মাণিতে “পঞ্চাননে”র জন্ত জরুরি ১২০ বিঘা। এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন দেশে পঞ্চাননগুলার জন্ত নানাপ্রকার অাবাদের বহর । অতএব যদি ডেন্মার্কে আইনগত স্বাধীনতা আর রাষ্ট্রগত স্বাধীনতার দোহাই দিয়া লোকেরা বলে,-“আমার ৪৫ বিঘা জমি আমি আমার নয় সন্তানকে সমানভাবে ভাগ করিয়া দিয়া যাইব । প্রত্যেকে পাইবে ৫ বিধা করিয়া” —তাহা হইলে এই নয় সন্তানের আর্থিক অবস্থা দাড়াইবে কিরূপ? প্রত্যেকেই পাচ পাচ বিঘার দৌলতে এক একটি “পঞ্চানন-পরিবার” পুষিতে পরিবে কি ? পরিবে না যে প্রথমেই স্বীকার করিয়া লইয়াছি। কেননা প্রত্যেকে পঞ্চাননের জন্ত চাই ৪৫ বিঘ। অতএব মুবুদ্ধির কথা হইতেছে,—আর্থিক স্বার্থের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ স্বাধীনতা খৰ্ব্ব করুক। এই স্বাধীনতা-হ্রাসের পরিচয় আবার একালের উত্তরাধিকার-আইনে মুক্তি গ্রহণ করিয়াছে। উত্তরাধিকারের আইনে যুগান্তর (১৮৮২) আবার জাৰ্ম্মণরা আইন-সংস্কারে অগ্রণী । জাৰ্ম্মাণির আইন-বিশেষজ্ঞের নয়া ঢঙের চিন্তা ও দর্শন আইনের আখড়ায় আনিয়া হাজির করিয়াছে । এরা বলিতেছে,—আইন দ্বিবিধ। একরকম আইন হইতেছে ব্যক্তিবিষয়ক । দ্বিতীয় রকম আইন হইতেছে বস্তু-বিষয়ক । জমিজমার আইনে এই দুই রকম আইনই আছে। জমির মালিক তার সম্পত্তি সম্বন্ধে কি করিবে না করিবে এসব কথা হইতেছে ব্যক্তি-বিষয়ক আইনের অন্তর্গত । কিন্তু যে জমিট সম্বন্ধে মালিকের একতিয়ার সেই মিটারও একটা সত্তা, একটা স্বাতন্ত্র্য আছে । জমির এই যে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব তার