পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৮ নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সম্বন্ধে আইনের বিশ্লেষণ হওয়া আবখ্যক । ব্যক্তিগত আইন বলিতেছে,— “আমার জমি । আমি এটাকে টুকরা করিব।” কিন্তু সেই সময়ে বৰগত আইন বলিতেছে—“ই তুমি জমিট টুকরা করিতে অধিকারী ৰটে। কিন্তু জমিটা নিজে এই টুকরা-করা সহিবে না। টুকরা করিতে গেলে এই জমির জমিত্ব বা জমিশক্তি থাকিবে না । জমির ইজ্জৎ বঁাচানোও আইনের কর্তব্য ।” এই ধরণের “জাখেন-রেখটু” (অর্থাৎ বস্তুগত আইন) বনাম “প্যর্জোনেনরেখ টু” ( অর্থাৎ ব্যক্তিগত আইন ) বিষয়ক তর্কবিতর্ক জাৰ্ম্মাণিতে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বিস্তর চলিয়াছে । ১৮৯০ সনের জমিদারিদলননীতি মুরু হইবার পূর্বেই জাৰ্ম্মাণর বস্তু-গত আইনের,—জমির ইজৎ রক্ষার জন্ত কামুনের,—ব্যবস্থা করিয়াছিল। ১৮৮২ সনের কথা বলিতেছি । তখন আইনের দুনিয়ায় একটা বিপুল যুগান্তর হইয়া গিয়াছে। ভারতের হিন্দু-মুসলমান আজ ১৯২৬ সনে জমির ক্ষুদ্রীকরণ বা ফ্র্যাগ মেণ্টেগুন নিবারণ করা কখনো সম্ভবপর কিনা ভাবিয়া আকুল । ঠিক ৪৪ বৎসর পূৰ্ব্বে জাৰ্ম্মাণর দুনিয়ার সকল দেশের দুর্দশ নিবারণের জন্ত যে দাওয়াইট আবিষ্কার করিয়া গিয়াছে, তার খবর হয়ত আমরা একদম রাখিই না । আইনটার মতলব হইতেছে জমিকে সটান পুরাপুরি এক হাত হইতে আর এক হাতে বদলি করা। উত্তরাধিকার জমির কোনো অংশ-বিশেষে আসিতে পাইবে না। উত্তরাধিকারী পাইবে সম্পূর্ণ জমি। মামুলি প্রচলিত আইন বলিতেছে,—বাপ তার চার ছেলে মেয়েকে ১২০ বিঘা জমি সমান চার অংশে বঁটিয়া দিতে বাধ্য। ১৮৮২ সনের আইন বলিতেছ,—“সমান চার ভাগ হউক, আপত্তি নাই । কিন্তু জমিকে চার টুকরা করিতে পাইবে না। অর্থাৎ পুত্ৰকস্তার প্রত্যেককেই জমির