বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> e o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন করিয়া দিতেছি জমিজমার কেনাবেচা ইত্যাদি সম্বন্ধে।” ঠিক একই সঙ্গে অপরদিকে এই আইনটা বলিতেছে—“কিষাণ, মনে রাথিস ১৮৮২ সনের উত্তরাধিকার-আইন। জমিট কোনো দিনই টুকরা করিতে পারিবি না।” একটা কথা,—কিছু অবাস্তর হইলেও,—এখানে বলিয়া রাখা ভাল । যে-লোকটা বাছাই-করা উত্তরাধিকারী হইতেছে, সে মূলধন পায় কোথায় ? সে তার ভাইবোনকে টাকা দিয়া গোটা সম্পত্তিটা কিনিয়া লইতেছে কি করিয়া ? সাধারণতঃ তার পুজি জুটে ব্যাঙ্কের নিকট হইতে । ব্যাঙ্ক তার জমি বন্ধক রাখিয়া টাকা দেয় । তাই দিয়া সে জীবন শুরু করে। অপর দিকে, জমিহীনের চরিয়া খাইতেছে” গিয়া কোন মুল্লুকে ? কারখানায়, ফ্যাক্টরিতে, রেলওয়েতে, খাদে অথবা কোনো বড় জমিওয়ালার ক্ষেত্রে। দেশের আর্থিক অবস্থা এইরূপ নানা দিকে পরিপুষ্ট বলিয়াই ভিটেমাটি-ছাড়া লোকগুলার কোনো দুৰ্গতি ঘটে না । চাষীর স্বাধীনভায় হস্তক্ষেপ জমিদারের স্বাধীনতা খৰ্ব্ব করা ১৮৯০-৯১ সনের আইনের এক বিশেষত্ব সন্দেহ নাই । কিন্তু চাষীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপও এই আইনে কম হইতেছে না। কিষাণ-মালিক গড়িয়া তুলিবার জন্ত গবমেণ্ট জমিদারদেরকে অনেক বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করাইয়া ছাড়িয়াছে। কিন্তু তাই বলিয়া চাষীদেরকে স্বর্গে তোলাও আইনের মতলব নয় । নানা উপায়ে চাষীদের হাত পা বাধিয়া রাখা এই আইনের প্রয়াস । প্রথমেই বলিয়াছি যে, ১৮৮২ সনের উত্তরাধিকার-আইনটা মানিয়া চলিতে প্রত্যেক কিষাণ বাধ্য। দ্বিতীয়তঃ চাষ-আবাদ সম্বন্ধে প্রত্যেক কিষাণ-মালিক কতকগুলা নিয়ম মানিয়া চলিতে বাধ্য। তৃতীয়তঃ,