বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ولا e < নিকটে, কিন্তু মাল হিসাবে এত উপরে ও দূরে অবস্থিত যে, সে সম্বন্ধে চিন্তা করাও কঠিন । চাষীর জমিজমা-সম্পকিত আইন-কান্থন আমাদের দেশে আগেও যেমন ছিল এখনও প্রায় তেন্নি আছে। তবে জমিজমা কাওে দুনিয়ায় কত কি পরিবর্তন ঘটিয়াছে, কত বিপ্লব-বিবর্তন আসিয়া গিয়াছে—এসবই আমরা বাহিরে থাকিয়াও কিছু কিছু বুঝিতে পারি না এমন নয় । কিন্তু মজুর-দুনিয়ায় নবীন স্বরাজ যে কি বস্তু তাহা ৰুঝিবার ক্ষমতা আমাদের একদম নাই । বুঝা কাহাকে বলে ? আপনারা বলিবেন, “তুই তো বড় আহাম্মুক। যুবক-ভারত যে কোন বিষয়ে চিন্তা করিতে পারে । ত্রিভুবনে এমন কিছু নাই যাহা তাহার মগজের বাহিরে। আমাদের ভগ্নীপতির ঠাকুরদাদার পিসতুত ভাইয়ের জ্যাঠারাই তো উপনিষদ রচনা করিয়া গিয়াছেন। সেই জাত কিনা এমন একটা খেলো কথা বুঝিতে পারে না ? ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসা যারা তর্কের খাড়ায় কুচি কুচি করিয়া কাটিয়া আলোচনা করিতে পারিয়াছে তারা কি না এই সামান্ত জিনিষটা বুঝিতে পারে না ।” এর উত্তরে আমি বলিতে চাই যে, বাস্তবিকই আমরা মজুর-স্বরাজ বুঝি না । জিনিষটা বেশ কিছু কঠিন । প্রথম কথা হইতেছে—আজকালকার দিনেই হউক বা ঠাকুরদাদাদের আমলেই হউক, আমাদের দেশের লোকের ব্ৰহ্ম ৰস্কট কতটুকু ৰুৰিয়াছেন ? কেউ কেউ হয়ত জিনিষটা বুঝিতেন ; কিন্তু অনেকেই “শব্দ” কপচাইতেন মাত্র । অধিকাংশ লোকেই কেবল বোলটা লইয়া আলোচনা করিতেন, তর্ক করিতেন । বুলিট ষে মালের প্রতিশব্দ সেই মালটার দিকে নজর ফেলা অনেকের ক্ষমতায় কুলাম্ব নাই । আর এখনও অবস্থা তজপ ।