মজুর-তুনিয়ায় নবীন স্বরাজ >>° মাত্র পনর লাখ । তবুও ফ্রান্স অনেক বিষয়ে “দ্বিতীয়” শ্রেণীর দেশ । ১৯২৬ সনের কিছু পেছনে ইহার স্থান। ইংলও, জাৰ্ম্মাণি, আমেরিকা বা জাৰ্ম্মণি, আমেরিকা, ইংলও বা আমেরিকা, ইংলণ্ড, জাৰ্ম্মাণি এই তিনটি দেশ দুনিয়ায় সেরা । এই তিনটি দেশের অভাবে জুনিয়া চলে না । ইহার বিশকোটি লোকের অভাবে পৃথিবী মারা যাইবে । ১৯২৬ সনে যদি কোন জাত জীবিত থাকে তো এই তিনটা । বিলাতে কত মজুর বেকার বসিয়া আছে জানেন ? বিশ লাখ । এখন মজুর কত ভাবুন। যুদ্ধের পর আমেরিকায় বেকার-সমতা খুব আশঙ্কাজনক হইয়া দাড়ায় । সময় সময় পচাত্তর লক্ষ লোক বেকার বসিয়া ছিল। যে দেশে বেকারই এত, সে দেশের মজুর-শক্তির বিপুলত৷ ভারতবাসীর পক্ষে ঠাওরানো সম্ভব কি ? ১৮৫ • সনের জাৰ্ম্মাণি-ইংলও কি ১৯২৬ সনের জীবনকে কোনমতে বুঝিবার অধিকারী ছিল ? আমরা ভারতে বোধ হয় এখনো ১৮৭৫ সনেই আছি । আমরা কেমন করিয়া এই দীর্ঘ সময়টা মারিয়া লইতে পারি ? ১৯২৬ সনের জাৰ্ম্মাণ-ফরাসী-ইংরেজ আইনের বোল কপচানো সম্ভব। রিসার্চ গবেষণার দ্বারা হয়ত এইসব হাতের আগায় রাখা যায় । কিন্তু তাহা দ্বারা বস্তুটা পাকড়াও করা সম্ভব নয় । মামুলি ট্রেড ইউনিয়ম ১৯২৬ সনে কি রকম মজুর-স্বরাজ গড়িয়া উঠিয়াছে ? মজুর-স্বরাজের অর্থ “ট্রেড ইউনিয়ন” নয়। আবার “ট্রেড ইউনিয়ন”ও একটা ছোট খাট জিনিষ নয়। এই ট্রেড ইউনিয়নের জন্ত কত কত পণ্ডিত মাথা ঘামাইয়াছেন। মজুর রাষ্ট্রীয় দল, মজুর সামাজিক দল, মজুর দার্শনিক দল, মজুর সাহিত্যিক দল, ট্রেড, ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন করিয়া
