বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X, Xbr নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ক্ষেপিয়াছে। উনবিংশ শতাব্দীর মজুর-স্বরাজের দল ট্রেড ইউনিয়নের জন্ত মাতিয়াছিল। যে যে দেশে ট্রেড ইউনিয়ন স্থাপিত হইয়াছে সেই সব দেশে বুঝিতে হইবে কারখানা-শিল্প চরমে উঠিয়াছে। সেই সব দেশে শিল্পস্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। কতক কতক বিষয়ে রাষ্ট্রীয় স্বরাজও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। সিডনি ওয়েব তাহার “ইন্ডাষ্টিয়াল ডেমোক্রেসি” গ্রন্থে বলিয়াছেন যে, ট্রেড ইউনিয়ন অনেক কিছু করিয়াছে। ট্রেড ইউনিয়ন মজুরকে সঙ্ঘবদ্ধ করিয়াছে, ইহা একের সঙ্গে আর একজনের সখ্য স্থাপন করিয়াছে। সঙ্ঘবদ্ধ মজুর ক্যাপিটালিষ্টের সঙ্গে আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতে পারে। মজুরদের প্রতিনিধি-সর্দার মনিবের কাছ হইতে তাহার দলের ন্যায্য অধিকার কড়ায় গণ্ডায় আদায় করিয়া লয়। এই যে নামজাদা "লেবার’ গবর্ণমেণ্ট স্থাপিত হইয়াছিল, ইহার পেছনে ছিল ট্রেড हेडेनिग्रन । কিন্তু এহেন ট্রেড ইউনিয়নও বর্তমানে যে জিনিষটি গড়িয়া উঠিতেছে তাহার কাছে হার মানিতে বাধ্য হইয়াছে । ট্রেড ইউনিয়নের পরের ধাপ ট্রেড ইউনিয়নের পরের ধাপে যে বস্তুটা আসিয়া পৌঁছিয়াছে, সেইটি একদম ১৯১৮-১৯২৬ সনের আবিষ্কার একথা বলা হয়ত ঠিক হইবে না। কারণ জাৰ্ম্মাণি, ফ্রান্স, আমেরিকা ও অস্তান্ত দেশে ছোটখাট ভাবে এই আন্দোলন আগে হইতেই চলিয়া আসিতেছিল। অষ্ট্ৰীয়ার বেটু,বসরাই ১৯১৮ সনে অষ্ট্ৰীয়ার সাধারণতন্ত্র ( রিপাবলিক ) গড়িয়া উঠিল । তাহার কনষ্টিটিউশনের ভিতরে একটা ধারা বসাইয়া দেওয়া হইল—