পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মজুর-জুনিয়ায় নবীন স্বরাজ ১২৩ হয় তাহার উপায় কি ? উপায় হইতেছে প্রত্যেক ট্রেড ইউনিয়ন হরতাল রুজু করিতে পারে। তাহ ছাড়া আর কোন কৰ্ম্মপ্রণালী নাই । কিন্তু যে যে দেশে “বেটী,বসরাট" আছে, সেইসকল দেশে ফ্যাক্টরীর ভিতর, আফিসের ভিতর, ব্যাঙ্কের ভিতর, ইউনিয়নের কাজ হাসিল করিবার মতন যন্ত্র রহিয়াছে । কাজেই সহজে মালিককে জব্দ কর। যাইতে পারে। ট্রেড ইউনিয়ন মজুরের সম্বন্ধে যে সব নিয়ম-কানুন বাধিয়। দেয়, প্রত্যেক মালিককে সেই অনুযায়ী চলিতে বাধ্য করানো আজকাল খুবই সম্ভব হইয়া পড়িয়াছে। ট্রেড ইউনিয়ন বাহিরের যন্ত্র ; কিন্তু কারখানার ভিতরেই মজুরের তাহাদের প্রতিনিধি পঠাইয়া দিয়াছে । আজকাল ইহারা ঝাণ্ডা হাতে কারখানার বহিরে দাড়াইয়া হুঙ্কার ছাড়ে না। লড়াই করিতে করিতে মজুরের কেল্লার ভিতরে আসিয়া পড়িয়াছে ; আর সেখানে লাল নিশান খাড়া করিয়া দিয়াছে । মালিক তাহা কুর্ণিশ করিয়া চলিতেছে। “বেটী বস্-রাষ্ট্র" একদিকে ট্রেড ইউনিয়নের অন্তরঙ্গ বন্ধু, অপর দিকে গভর্ণমেণ্টের যন্ত্র-বিশেষ রূপেও এই কৰ্ম্মসভার কিন্মং ঢের । গভর্ণমেণ্ট মজুরের স্বার্থরক্ষণের জন্য যে সব আইন করিয়াছে, মনিব তাহ না মানিলে মজুরদের প্রতিনিধি গভর্ণমেণ্টের কাছে নালিশ করিতে অধিকারী । সরকারী আইনকানুনগুলি অনুসারে কাজ বাগানো “কৰ্ম্ম সভার” অন্ততম ধান্ধা । মনিবের উপর মজুরের কৰ্ত্তামি কারখানার প্রত্যেক খুটিনাটি বিষয়ে শাসনঘটিত যাহা কিছু নিয়ম করা আবশ্বক, মনিব মহাশয়ের একলা তাহ কায়েম করিতে পারিবেন না । ৫টা কি ৫টা পৰ্য্যন্ত অফিস চলিবে, এ প্রশ্ন মজুরদের মত না