বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ^^^^ గిwww^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^ লইয়া মীমাংসা হইতে পারে না। আজ শিল্প-কারখানায় ডিসমিস কে করিতেছে ? কাল জরিমানাকে করিতেছে ? এক দিকে ট্রেড ইউনিয়ন তো বাইরে পড়িয়া আছে। অপর দিকে, মালিকের যাহাকে তাহাকে যখন ইচ্ছা শাস্তি দেওয়ার অধিকার আর নাই। এসব করিতেছে মজুর-প্রতিনিধি। পচিশ বছরের পুরাণো কলে কাজ করিতে হাত ভাঙ্গিয়া যায়—পনর বছরের পুরাণে যন্ত্রে আর কাজ করা যাইতে পারে না। নতুন যন্ত্র চাই। এ জীর্ণ বfাটায় আর ঝাড় দেওয়া চলে না, ঘাড় ভাঙ্গিয়া যায়। মজুরদের “কৰ্ম্মসভা” এই সব বলিতেছে । আর মনিব তৎক্ষণাৎ এইসব অমুযোগ শুনিয়া তাহার প্রতীকার করিতে বাধ্য । তাহ হইলে বুঝুন—কোন পথে দুনিয়া চলিতেছে । আপনারা বলিবেন, “ইহারা সব গোয়ারতামি করিতেছে। এই সব অবদারি লোকগুলাকে তাড়াইয়া দিলেই তো সব গোল মিটিয়া যায় ।” কিন্তু মজার কথা,-ডিসমিস্ করার অধিকারী কে ? শাস্তি দেবে কে ? সে সব "মজুর-রাজ ।” মজুর-রাজ মনিবকে আদালতের বিচারে দাড় করায়। কোন মজুর-প্রতিনিধি যদি মনিবের অপ্রিয় থাকে কারণ সে মজুরের স্বার্থই বেশী দেখে আর সেদিকে বেশী সময় অতিবাহিত করে, তবে সে মজুরের স্বাৰ্থ অধিক দেখিতেছে ৰলিয়া এক্ষেত্রে তাহাকে তাড়াইবার উপায় নাই । এই জন্য রীতিমত আইন রহিয়াছে। যদি এই সকল “কৰ্ম্মসভার” কাজ করিবার জন্ত কোন প্রতিনিধি কৰ্ম্মকেন্দ্রের কাজ কিছু কম করে, তাহা হইলে তাহার মাইনে কাটা যাইতে পারে না। একেই বলে, —“তোমারই শিল তোমারই নোড়া, তোমারই ভাঙ্গবো দাতের গোড়া।” মনিব যদি বলে—“আমার পয়সায় মানুষ, আমার ইচ্ছা প্রতিপালন করিতে, আমার সময় ও স্বযোগের দিকে মন দিতে মজুর আইনতঃ ৰাধা, আর এই অজুহাতে জবরদস্তি চালায়, তবে তার চরম জরিমানা