বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনোৎপাদনের বিদ্যাপীঠ >8¥ পয়সা খাটাইয়া তেজারতি করিতে বাধা নাই । বিদেশীরা ফ্রান্সে নিজ নিজ পরিষদও স্থাপন করিতে সমর্থ প্যারিসের আকাদেমী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার আলাপ হয় । তিনি বলিলেন, “তোমরাতো ভারি আহাম্মক লোক । এই প্যারিসে দশ হাজার ছাত্র অধ্যয়ন করে । গোটা দুনিয়াকে প্যারিস অকুপ্রেরণা দিতেছে । ফ্রান্স তোমাদিগকেও ত ডাকিতেছে । তোমাদের নেমস্তন্ন করিয়া পাঠাইতেছে । তোমরা এখানে একটা পরিষদ প্রতিষ্ঠা কর । তুমি দেশে গিয়া তোমার দেশের লোককে বল—তারা কিছু টাকা তুলিয়া ভারতপরিষদ, ভারতীয় অ্যাস্তিতিউ নামে একটা-কিছু খ গ করুক। তাতে তোমাদের দেশ থেকে কয়েকজন অধ্যাপক, বক্তা, ছবি-মাকনেওয়ালা, লিখনে ওয়ালা এষ্ট সব কতক গুলি পাঠাষ্টয়া দি ও । এই পরিষদকে আমরা ফরাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামিল করিয়া লইব ।” জাৰ্ম্মণণি বনাম ফ্রান্স শিল্প-শিক্ষার মুলুকে আমেরিক ও জাৰ্ম্মাণি ফান্সের চেয়ে সেরা । জাৰ্ম্মাণি একটা বিপুল মুল্লুক । বিশেষতঃ জাৰ্ম্মাণের বিধি-ব্যবস্থা এত জটিল যে তাতে থৈ পাওয়া মুস্কিল। সেখানকার বড় বড় পণ্ডিত আমাকে বলিয়াছেন, “তুমি এই জাৰ্ম্মাণিতে ১২ বা ৩৪ বছর থাকিয়াই আমাদেরকে জরীপ করিয়া বগলদেবে দেশে লইয়া যাইবে ভাবিয়াছ । আমরা এই মন্ত্রীগিরি করিতে করিতে চুল দাড়ি পাকাইয়া ফেলিয়াছি । বয়স হইল ৬০৬৫ বছর। আমরা সেরূপ কল্পনা করিতে পারি না । জাৰ্ম্মাণিতে কতগুলা টেকনিক্যাল স্কুল আছে ? এমন একজনও জাৰ্ম্মাণ নাই যে সে অঙ্ক কষিয়া এক নিমেষে বলিয়া দিতে পারে যে ঠিক এতগুলো ।” আকাশের তারা গুনিয়া যেমন শেষ করা যায় না ( শেষ করা যায় না