বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনোৎপাদনের বিদ্যাপীঠ ১৪৩ ভাল। এ সব দেশ সম্বন্ধে যত জানি, ততই ভাল ; কিন্তু আঁটিয়া ধরিতে পারি কোনটাকে ? যদি আঁটিয়া ধরিতে হয় তা হইলে ঐ ফান্সকে। ফান্সের মফঃস্বলে মফঃস্বলে, পল্লীতে পল্লীতে বাঙ্গালী চাষী, শিল্পী, কারিগরদের শিখিবার অনেক চিজ আছে। এই সকল কেন্দ্রে তিন চার বছর বাস করিয়া, সেখানকার গণ্ড গণ্ডা এঞ্জিনিয়ার আর শত শত চাষী, মিস্ত্রি, আড়তদার ইত্যাদির সঙ্গে আলাপ পরিচয় করিয়া, এদের সঙ্গে মিশিয়া এদের প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে কিছু আমল করিয়া তবে নিজের দেশে ধনোৎপাদন বিষয়ক বিদ্যাপীঠের প্রাথমিক ভিত্তি গড়িয়া তুলিতে পারিব—এইরূপই আমার বিশ্বাস । নিজের চোখে একবার ফ্রান্স, ইতালি জাৰ্ম্মাণির অবস্থাটা হাতে কলমে জরীপ করিয়া আসি না কেন ? দরকার হইলে এক গ্লাস “হব্যা” পৰ্য্যন্ত খাইয়া ধনোৎপাদনের গণ্ডা গণ্ডা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দহরম মহরম করিয়া দেশে ফিরিয়া আসিবার ব্যবস্থা করা হইতেছে না কেন ? বিদেশের নিবিড় অভিজ্ঞতা ওয়ালা বাঙ্গালীই বাঙ্গালার পাকা সমালোচক এবং স্বদেশসেবক হইবার উপযুক্ত। এযুগে বিদেশে বাঙ্গালীর প্রবাসই আমাদের দেশোন্নতির আধ্যাত্মিক শক্তি। ফুঙ্গে একটা “বৃহত্তর বঙ্গ” গড়িয়া উঠুক।