পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী * যা কিছু আমি বলিয়া যাই তার অনেকটা আপনাদের পছন্দসই নয় । তার কারণ,—আপনারা শুনিতে চাহেন আমি বলিয়া যাট বা আর কেহ বলিয়া যাউক যে, পাশ্চাত্য লোকেরা ভারতবাসীর শিষ্যত্ব করিবে, আমাদের পায়ে তারা মাথা ঠেকাইয়া চলিবে। আপনাদের যারা অতদূর চরমে যাইতে রাজী নহেন, তারা অন্ততঃ পক্ষে এটা শুনিতে ইচ্ছা করেন যে, “বেশ তো, ইয়োরোপ আর আমেরিকা, তারা হইতেছে সুয়েজ খালের ওপারের লোক, আমরা হইতেছি সুয়েজ খালের এপারের লোক । ওপারের যে পথ সে ওপারের দস্তুর ; আমাদের এ পারের যে পথ সে হইতেছে আমাদের পূরবী লোকের বিশেষত্ব। ওরা যে পথে চলিয়াছে চলুক, আমরা আমাদের পথে চলিতেছি চলিব ।” কাজেই আপনারা চাহেন ন যে, আমি মুখামুখি পশ্চিমের সঙ্গে পুরবের তুলনা করি কিংবা কখনো কখনো বলি যে, পশ্চিম যে পথে চলিয়াছে পূরবও সেই পথেই চলিবে। এশিয়া ইয়োরামেরিকার গুরু নয় যাক, আমার কথাগুলি আপনাদের পছন্দসই হউক বা না হউক আমার বক্তব্য সোজা। এই ষে দুই মত, এ দু’এরষ্ট আমি ঘোরতর বিরোধী। আমার কথা এই, – এশিয়ার নরনারী ইয়োরামেরিকান অর্থাৎ পশ্চিমা নরনারীর গুরু কোন মতেই নয়। আজ ত নয়ই।

  • জাতীয় শিল্পপরিবদের তত্ত্বাবধানে প্রদত্ত ৰক্তভার শর্টহাও বৃত্তান্ত (ফেব্রুয়ারি ১৯২৬)। শর্টহাও লইয়াছিলেন ত্রযুক্ত ইন্দ্রকুমার চৌধুরী।