পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8by নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন লাইন, কোন কোন কৰ্ম্ম-প্রণালী মাহুষকে আর্থিক হিসাবে উন্নত করিয়া তুলিয়াছে। তার প্রথম কথা দেখিতেছি,-আজকাল মানুষের টাকাপয়সাগুলি নিজের নিজের তোরঙ্গের ভিতর থাকে না অথবা ছাড়ির ভিতর মাটির নীচে পোতা থাকে না । সেগুলি যেমন করিয়া হউক, পাথায় উড়িয়াই আমুক কিংবা কোন পার্থীতে লইয়াই আস্থক, কোন এক জায়গায় কেন্দ্রীকৃত হয়। অর্থাৎ তাতে ব্যাঙ্ক গড়িম্বা উঠিয়াছে। দ্বিতীয় কথা, দুনিয়ার নরনারী সাবেক কালে, এমন কি, চল্লিশ পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ব্বেও সৰ্ব্বদা ভয়ে ভয়ে চলিত। বেশ আছে, যদি হঠাৎ সর্দি লাগে, কি হইবে ? সরকারের চাকুরী করিতে পারিব ন, মাহিনী কাটা যাইবে । কুলী-কেরাণী, মজুর-চাষী প্রত্যেকের ভাবনা রেলে যাইতে যাইতে যদি ধাক্কা লাগে, কলিশন হয় ! হঠাৎ যদি পথে মারা যাই, পরিবার না খাইয়া মরিবে ! যদি হঠাৎ কোন রকমে হাত পা ভাঙ্গি, কি হইবে ? ডাক্তারের ফি যোগাইতে হইবে, ছেলেমেয়ে পরিবারের ভাবনা ভাবিতে হইবে ইত্যাদি, ইত্যাদি। বর্তমান জগতের সমাজ-ব্যবস্থা বলিতেছে, “কুছ পরোয়া নেই, মানুষগুলিকে এমন করিয়া গড়িয়া তুলিতে হইবে, যে প্রত্যেক লোক –কি পুরুষ, কি স্ত্রী, কেরাণী, মজুর, চাষী প্রত্যেকে নির্ভাবনায় নিরুপদ্রবে নিরুদ্বেগে জীবন যাপন করিয়া কাজ করিয়া খাইতে পারে । তার ব্যবস্থা করিতে হইবে । ভাবিবার দরকার নাই, কেবল কাজ করিয়া যাও, যদি মরিয়া যাও, তার জন্ত, তোমার পরিবারের জন্ত কেহ না কেহ দায়ী, ইত্যাদি । তারপর ত্রিশ-চল্লিশ বৎসর আগে জমি-জমাব নতুন আইন কায়েম হইয়াছে। সেকালের দপ্তর ছিল এই :–তুমি বড়লোক—তোমার যদি কিছু জমি থাকে, বেশী বা কম,–পাচ ছেলে থাকিলে তাদের মধ্যে ভাগ করিয়া দিতে হইবে । কিংবা ইচ্ছামত ষাকে তাকে দিয়া দেওয়া চলিত