বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী >8వ আজ-কালকার লোক বলিতেছে—২৫৩০৷৪ • বৎসর ধরিয়া বলিতেছে — বোলশেহিরজমের জন্মের অনেকদিন আগে হইতে বলিতেছে—আইন পৰ্য্যস্ত করিয়াছে যে, যে লোকটার কম জমি আছে তাকে কিছু বেশী জমি দিতে হইবে ; যে লোকটার জমি নাই তাকে জমিদার রূপে গড়িয়া তুলিতে হইবে। কিন্তু জমি আসিবে কোথা হইতে ? যার জমি আছে তার কাছ হইতে জমি লইয়া যাদের জমি নাই অথবা কম জমি আছে তাদেরকে দাও । কে দিবে ? রাষ্ট্র । আর এক রকম হইল ;–আমার জমি, আমি যাকে তাকে দিয়া যাইতে পারি, এটা মান্ধাতার আমল হইতে চাণক্যের সময় হইতে দুনিয়ার সর্বত্র চলিয়া আসিতেছে । আজকালকার লোক বলিতেছে এ সব আইনে চলিবে না, যাকে তাকে দিয়া যাইবে, কিংবা ছেলেদের মধ্যে ভাগ ভাগ করিয়া টুকরো টুকরো করিয়া দিবে তা হইবে না। জমিগুলো বেচিতে হইলে তাতে পর্য্যন্ত সরকারের কথা মানিয়া লইতে হইবে। এইভাবে নতুন জমি-জমার আইন-কানুন করিয়া মানুষগুলোকে মজবুত করিয়া তোলা হইতেছে। যারা ফ্যাক্টরীতে কাজ করে, অফিসে কেরাণীগিরি করে, তাদের জীবন এতদিন পৰ্য্যন্ত বড় জোর ট্রেড ইউনিয়নে সঙ্ঘবদ্ধ ছিল। তার মধ্যে থাকিয়া মালিকদের সঙ্গে দরদপ্তর কষাকষি, খুব বেশী হইলে ধৰ্ম্মঘট চালান। আজ পর্য্যস্ত একেই পৃথিবীর লোক চরম ধরণের শিল্প-স্বরাজ মনে করিত। মজুর শ্রমজীবী কুলী কেরাণী এদের পক্ষে এর চেয়ে বেশী কিছু করা সম্ভব নয়, কিন্তু গত দশ পনর বৎসরের মধ্যে দেখা গিয়াছে যে, এতে চলিতেছে না। আরো এক নতুন দুনিয়া আবিষ্কৃত হইয়াছে। এ ছনিয়ার মজুর আর কেরাণী সকলে মালিকের সঙ্গে এক চেয়ারে বসিতেছে। কারখানা, আফিস, যা কিছু কৰ্ম্মকেন্দ্র আছে, সব জিনিষ শাসন করিতে তারা সমান অধিকারী । কেবল তা নয়, কবে কোথায়