বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>6 о নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কত টাকা খরচ হইয়াছে ও হইবে তার হিসাব-নিকাশ করিতেও অধিকারী এই মজুর কেরাণী ও শ্রমজীবী । এ হইতেছে আর্থিক উন্নতির আর এক বনিয়াদ । প্রত্যেক মানুষকে হাতের জোরে আর মাথার জোরে কাজ করিতে হয় । পুথিবীতে এটা হইতেছে শক্তিমানের লক্ষণ । এই দুই জিনিষের জোরে শক্তিমানেরা ছনিয়ার পূজা পায়। এখনকার লক্ষ্য হইতেছে জগতের প্রত্যেক মানুষকে শ্রেষ্ঠ করিয়া তোলা । একথা ২০। ২৫ ৫ •।৬০ বৎসর আগে এমন সজোরে, এমন সজাগ ভাবে দুনিয়ার নরনারী ভাবে নাই । ভাবিতেছে এখন ; প্রত্যেক লোককে মাথার জোরে এবং হাতের জোরে স্বাধীন করিতে হইবে । তাহা করিবার উপায় কি ? যখন যে প্রদেশে, যে জেলায়, যে ধরণেরই স্কুল করা দরকার, তখন সেই জেলায় সেই প্রদেশে সেই ধরণেরই স্কুল কায়েম কর । এতদিন পৰ্য্যন্ত ১৪ বৎসর বয়সের পুরুষ এবং স্ত্রী প্রত্যেক দেশে বাধ্যতামূলক সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষা পাইতে অধিকারী ছিল । এখন হইয়াছে, কেবল মাত্র ১৪ বৎসর পয্যন্ত নয়, কম্ সে কম্ ১৮ বৎসর পর্য্যন্ত পুরুষ ও স্ত্রী কণজ করিবার সময়েও প্রত্যেকে বিনা পয়সায় লেখা-পড়া শিখিতে বাধ্য । আজকার আলোচ্য “আর্থিক জগতে আধুনিক নারী।” সেদিনকার আলোচনায় প্রধানতঃ বলিয়ছি ফ্রান্সের কথা । আর আজকে প্রধানতঃ বলিতে চাই জাৰ্ম্মাণির কথা । জাৰ্ম্মণির মেয়েরা আর্থিক জগতে কত রকমে, কত প্রণালীতে রুতিত্ব দেখাইতেছে সে কথা আপনাদের কাছে বলিব । অদ্বৈতবাদের বুজরুকি প্রথমেই একটা অবাস্তর কথা বলিয়া রাখি | যাদের মাথা আছে তারা সাধারণতঃ যখন যে বিষয় লইয়া চিন্তা করে, তখন সেই বিষয় লইয়া