বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী >Q○ এবং আজও ভারতে প্রভূতরূপে চলিতেছে। সে কথা আপনারা শয়নেস্বপনে, নিশি-জাগরণে বেশ ভাল করিয়া জানেন । আমি হইতেছি অদ্বৈতবাদের কট্রর যম । আমার বিবেচনায়—আর্থিক উন্নতি একমাঞ্জ জমি-জমার উপর কি একমাত্র মেয়েজাতির উপর নির্ভর করিতেছে না। এক সঙ্গে হাজার শক্তি কাৰ্য্য করিতেছে । হাজার প্রতিষ্ঠান, হাজার আন্দোলন, হাজার নরনারীর ব্যক্তিত্ব একসঙ্গে কোন দেশের বা প্রদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত করিয়া থাকে। হয় ত সকলে সকল কাৰ্য্য করিতে পারে না । আপনি চান জমি-জমা লষ্টয়া লাগিয়া থাকিতে, আর একজন চায় প্রমজীবীদের লইয়া থাকিতে, আর একজন বলিতেছে টেকনিক্যাল ইস্কুল করিবে । আর একজন আর কিছু করিতে চায় । যার যেমন ইচ্ছ, যার যেমন শক্তি, যার যেমন মঞ্জি সে সেই রকম কাজ করিতে অধিকারী । কিন্তু এ জিনিষটিকে ফাপাইয়া ফুলাইয়া তুলিয়া যদি বলি—“দুনিয়া চলিতেছে শুধু ঐ চরথার জোরে” বা ঐ রকম কিছু, তা হইলে গোলমাল বাধে যুক্তি-শাস্ত্রের হাতে খড়ির বেলায়ই । আমি বলিতে চাই যে, আমাদের জননায়কই হউক, শিক্ষকই হউক, সমাজ-সংস্কারকই হউক, কবিই হউক, বক্তাই হউক,আর ছাত্রই হউক তাদের যতগুলি যুক্তি —তার প্রায় সকলের ভিতর ঠিক এইরকম একটা বিশ্বাস, এই রকম একটা ধারণা কাজ করিতেছে । অদ্বৈতবাদের পাল্লায়.পড়িয়া আমাদের ছেলেরা বুড়োর অনেকেই যুক্তি-সম্পদকে জলাঞ্জলি দিয়াছেন। পাশ্চাত্য নারীর অ-স্বাধীনভা আজ আমি দেখাইতে চাই—জাৰ্ম্মাণ জাতির মেয়েরা কত উপায়ে টাকা রোজগার করিয়া খাইতেছে, কত উপায়ে দেশকে ধন-সম্পদে উন্নত করিয়া তুলিতেছে। একটা কথা সব দেশেই আছে, আমাদের দেশেও