বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> (t 8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আছে, সেটা হইতেছে নারী-স্বাধীনতার আন্দোলন—সোজা কথায় *ফেমিনিজম ” এর ভিতর অনেক কথা আছে—রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি অর্থনীতি ইত্যাদি। সব কথা বলিবার প্রয়োজন নাই, একটি কথা শুধু বলিব । যারা নারী-স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রচারক—পুরুষই হউন, স্ত্রীই হউন–র্তার প্রধানতঃ এ কথা বলেন—মেয়েরা আজকালকার ছনিয়ায় নিজ নিজ সম্পত্তি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অধিকার লাভ করে নাই । এমন কি, তাদের নিজ সম্পত্তি বলিয়৷ কিছু নাই । দ্বিতীয় কথা, তার বলেন, “নিজ ইচ্ছাচসারে, স্বাধীনভাবে যে কোন ব্যবসা, যে কোন শিল্প, ষে কোন কারবারের সুযোগ আইনতঃ মেয়েদের নাই ।” এই যে দু’টি কথা, এ হইতেছে আর্থিক জীবন বিষয়ক ; অর্থাং নারী-স্বাধীনতা আন্দোলনের বড় ভিত্তি হইতেছে — আর্থিক স্বাধীনতার দাবী । এই কথা হইতে একটা সোজা কথা স্পষ্ট হইতেছে । যেদেশে যেদেশে এই আন্দোলন উঠিয়াছে, সেই সকল দেশে নারীর স্বাধীনতা ছিল না। যদি থাকিত, তা হইলে আন্দোলন উঠিবে কেন ? কোথায় উঠিয়াছে ? বিলাতে, আমেরিকায়, জাৰ্ম্মাণিতে, ফ্রান্সে, ইতালিতে । এশিয়ায় অfমরা একালে স্বাধীনভাবে কোন আন্দোলন স্বষ্টি করি এতখানি মগজ আমাদের নাই—না ভারতবর্ষে, না চীনে, না পারস্তে, না জাপানে । এই উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে আজ পর্য্যন্ত এশিয়ায় এমন কোন মাথা গজায় নাই যা স্বাধীনভাবে আন্দোলনের মতন একটা আন্দোলন স্বঃ করিতে পারে। পৃথিবীর যা-কিছু উন্নতিজনক শক্তি, সে সব বর্তমান যুগে—এই নারী-স্বাধীনতার আন্দোলনটাই ধরুন,—ইয়োরোপে উঠিয়াছে, আমেরিকায় উঠিয়াছে , যাক, দেখা যাইতেছে যে, ইয়োরোপীয় সমাজে, আমেরিকান সমাজে, অর্থাৎ খৃষ্টীয় সমাজে নারী-স্বাধীনতা নামে একটা বস্তু কোনো দিনই ছিল না । এ-কথা প্রথমেই স্বীকার করা দরকার ।