বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী 为@@ এ কথাটা বেশ খুলিয়া বলা প্রয়োজন, কেননা আমরা অনেক সময় আমাদের ঠাকুরদাদাদেরকে গাল দিতে দিতে স্বজাতিটাকে অপদার্থ মনে করিতে করিতে এমন অবস্থায় আসিয়া দাড়াইয়াছি যে, পৃথিবীর যা কিছু জঞ্জাল, নোংরা, যা কিছু ঘৃণিত সব জিনিষ ভারতের একচেটে বিবেচনা করিতে শিখিয়াছি । যেমন বলিয়া থাকি যে, নারী-স্বাধীনতার অভাব হিন্দু, মুসলমান ও চীনাদের বিশেষত্ব। আসল কথা, এই দোষ বা পাপটা সুয়েজ খালের অপর পারে ও চিরকাল যুগ-যুগান্তর ধরিয়া মজুত ছিল । নারী-স্বাধীনতার অভাব কেবল রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে নয়, আর্থিক ক্ষেত্রেও, উনবিংশ শতাব্দী পর্য্যন্ত দুনিয়ার সব্বত্রই একভাবে চলিয়াছে । এর যদি দৃষ্ট স্ব চান আমি দেখাইব - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । সেখানে আলাবামা প্রদেশে ছেলে-মেয়ের অভিভাবক জননী কোন দিনই নয়, অভিভাবক তার বাপ । এই গেল যুক্ত-রাষ্টের দক্ষিণ অঞ্চলের কথা । উত্তর দিকে যান, নিউ ইংলণ্ড খুব উন্নত, সেখানকার ব্যাপার এই । মেয়ে যদি চাকুরী কলিয়া টাকা রোজগার করিয়া অনে, তার কৰ্ত্তা সে নিজে নয় তার স্বামী । অর্থাং গৃহস্থ পরিবারে টাকা রোজগার করিয়া অানিতেছে স্ত্রী, কৰ্ত্তামি করিতেছে স্বামী । এই বিধান ১৯২৬ সনেও চলিতেছে । এ ধরণের বিধান বা অপিপান যুক্ত -রাষ্ট্রের ৪৮ জেলা ইষ্টতেই রকম রকম জোগাড় করিতে পারি । জাৰ্ম্মাণির কথা ধরুন । এই সে দেন ১৯১৪ সনে যখন লড়াই বাধে তখন সবে মাত্র মেয়েদেরকে উনি ভার্সিটিতে পঠাইবার একটা আন্দোলন জবর ভাবে দেখা দেয় । এই কথায় আশ্চৰ্য্য হষ্টধার কি আছে ? আশ্চৰ্য্য হইবার কথা এষ্ঠ যে, জাৰ্ম্মাণির এমন দিন গিয়াছে যে দিনটা অতিমাত্রায় “প্রাগ-ঐতিহাসিক" যুগের সামিল নয়— যে যুগটার কথা তারা বেশ ভাল করিয়া জানে । পচিশ-ত্রিশ বৎসরের বেশী নয় ; জাৰ্ম্মাণিতে এমন যুগ