বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী >○○ আদর্শ বিদ্যালয় ইত্যাদি নাম দিতে পারি। এক হিসাবে ছাত্র-ছাত্রীর আবাস আর এক হিসাবে ইস্কুল দুইই এক সঙ্গে চলিতেছে । এই ভাবে ১৫৯২ • • ছেলে মেয়ে লইয়া একজন প্রধান শিক্ষয়িত্রী থাকে। তার সঙ্গে আরও শিক্ষয়িত্রী সেখানে বাস করে । সেটাকে বলিতে পারি ছেলে মেয়েদের জন্য "উপনিবেশ’ । যারা এর দায়িত্ব লয়—প্রধান শিক্ষয়িত্রী ব। সহযোগিনী—সকলেই গৃহিণী ধরণে শিক্ষিতা । তারা এই সকল প্রতিষ্ঠানে কর্তৃত্ব করিয়া নিজেদের অন্নসংস্থান এবং সঙ্গে সঙ্গে সমাজের নানাবিধ কল্যাণ সাধন করিতেছে । ঝি-রাধুনির নব-বিধান তার পর গৃহিণীপনার ভিতর আর একটি মামুলী জিনিষ ঝি-গিরি করা আর রাধুনীর কাজ করা। এ সবও এক ধরণের ব্যবসা, বলাই বাহুল্য । এখন কথা হইতেছে—“এ জিনিষ ত আগেও হইত, এখন এমন কি হইয়াছে ? রান্না-বাড়ি তাও ইস্কুলে শিখিতে হইবে ? এ ত সকলেই বুঝে ! এই ধারণ আমাদের দেশে এখন পৰ্যন্ত আছে। রান্না-বাড়ি শিখিতে ইস্কুলের দরকার কি ? এ শিক্ষা আমরা ঠানদির কাছে পাইয়াছি, এখন কেন ইস্কুলে যাইতে হইবে ?” জাৰ্ম্মাণরাও ঠিক এই রকম কথা বলিত । কতদিন আগে বলিত তাও বলিতে পারি । মাপ-জোক ছাড়া আমার ভিতর আর কিছুক্ত নাই । ১৮৫০-৬৫ সনে জাৰ্ম্মাণিতে এই দিকে বিপ্লব দেখা দিয়াছিল । আগেকার জাৰ্ম্মণরা বলিত —“গৃহস্থ হইয়াই ত জন্মিয়াছি ; এ বিষয়ে ইস্কুলে নূতন শিখিবার অ বার কি আছে ?" মজার কথা হইতেছে, জিনিষটাকে যত সোজা মনে করি তত সোজা নয় । কয়েক বৎসর আগে ও আমাদের দেশে কয়লার রান্নার চলন হয় নাই, কাঠের রেওয়াজই ছিল । তাতে স্ত্রী হউক, রাধুনী হউক তাদের