বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԳՀ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পাঠান হইল। পাঠাইতেছেন ভাল কথা। এ ধরণের অবৈতনিক কাজ পুথিবীর অন্যান্ত দেশে ও আছে, আমরা ও করিতেছি, ভবিষ্যতেও করিব । কিন্তু সম্প্রতি আমি যে ধরণের সমাজ-সেবার কথা বলিতেছি সেটা ঠিক আমাদের সুপরিচিত “দেশের” কাজ নয় । কেননা সে সব অবৈতনিক নয় । ওকালতী কর; যেমন ব্যবসা, ডাক্তারী করা যেমন ব্যবসা তেমনি সমাজের সেবা করা ও একটা ব্যবসা । আর এই সব কাজে মেয়েরা ওস্তাদ । ওকালতীর মত, ডাক্তারীর মত, এঞ্জিনিয়ারির মত দেশের লোকের সাহায্য করা ও একটা বিশেষজ্ঞের পেশা । অার এতে পয়সা রোজগার ও হয় । এই ধরণের সমাজ-সেবা তিন শ্রেণীর অন্তর্গত। প্রথমতঃ স্বাস্থ্যবিষয়ক । আপনাদিগকে আগে বলিয়াছি, মেয়েরা গৃহস্থালী করে, “স্বাস্থ্য-নিবাসে” কত্ত্ব ত্ব করে। সেখানে যে কর্তৃত্ব, সেটা খণটি টেক্‌নিক্যাল বিদ্যা নয়, সেটা গৃহস্থালী হিসাবে কৰ্ত্তামি । কিন্তু এইবার স্বাস্থ্য-হিসাবে নতুন ধরণের কাজ। তবে এটা ডাক্তারী নয়, আবার আর এক দিকে মামুলি গিন্নীপনা ও নয় । এটা হইতেছে ওদের কথায় ভগ্নী, ইংরেজীতে যাকে বলে নাশ, জাৰ্ম্মাণিতে বলে শ্বোয়েষ্টার,—তার কাজ । নাসিং—সেবা করা, শুশ্রুষা করা ইত্যাদি জিনিষ জাৰ্ম্মাণিতে অতি বিস্তৃত রূপে গড়িয়া উঠিয়াছে। এক এক রোগের জন্ত এক এক শ্রেণীর নাস আছে । যদি আমি পেটের অসুখের জন্ত নাসিং বিদ্যায় পাশ করিয়া আসি তাহা হইলে আমাকে যক্ষ্মা রোগীর সেবায় কাজ দিবে না ; অথবা আমাকে অস্ত্রচিকিৎসায় সাহায্য করিতেও দিবে না । ভিন্ন ভিন্ন বেয়ারামের জন্ত ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতাল, ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্যনিবাস যেমন জাৰ্ম্মাণির সহরে সহরে অলিতে গলিতে দেখা যায়, ঠিক তেমি “ভগ্নী” বা “শ্বোয়েষ্টার” ইত্যাদিও রোগ হিসাবে ভিন্ন ভিন্ন। এক রোগের জন্ত পাশ করা মেয়েকে অন্ত রোগের জন্ত সার্টিফিকেট দিবে না। সে যদি একটা নতুন