বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী ›ዓ » মেয়েরা । এ সম্বন্ধে পরীক্ষা করা, ধাতু গালান, ঢালান ইত্যাদি সবই মেয়েদের কাজ । তারপর আরো একটি টেকৃনিক্যাল বা বৈজ্ঞানিক কাজ আছে। সেটা রাসায়ণিক । যে কোন সহরে বা পল্লীতে যা ও না কেন, সব জায়গায়ই খাদ্যদ্রব্যের “স্বাস্থ্য-পরীক্ষার” ব্যবস্থা আছে । এও একটা বড় ব্যবসা । প্রত্যেক সহরে, প্রত্যেক পল্লীতে দুধ মাখন চিনি, “আলু পটল” সবই পরীক্ষণ করা হয় । যা কিছু খাদ্যদ্রব্য থাকিতে পারে সব রাসায়ণিক উপায়ে পরীক্ষার পর তবে বাজারে চলিবে । এই পরীক্ষাকাজে যে সব লোক বাহাল হয় তারা মেয়ে । 邨 এইবার আর একদিকে নজর দিতেছি । বড় বড় এঞ্জিনিয়ারদের আফিস দেখিয়াছি । কেহ কেহ মীথ থাটাইয়া চল্লিশ পঞ্চাশটি বড় বড় বৈদ্যুতিক কাবখানা গড়িয়া তুলিয়াছেন। কোথাও জলের প্রপাত চলিয়া যাইতেছে, এটাকে কেমন করিয়া কাজে লাগান যায় তা লইয়া তারা অনবরত মাথা খাটাইতেছেন—ইত্যাদি । এষ্ট যে প্রকাগু প্রকাও এঞ্জিনিয়ার, তাদের অফিসে গিয়া দেখিবেন সাহচৰ্য্য করিতেছে কারা ? অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ নয়, জাৰ্ম্মাণির মেয়ে । সে বসিয়া মাপিতেছে, জুকিতেছে, ছবি আঁকিতেছে, অঙ্ক কমিতেছে। এ মামুলি সহযোগিতা ময়। রীতিমত টেকনিক্যাল সাহচৰ্য্য। তাতে বেশ কিছু মগজের ঘি লাগে । (৪) সমাজসেবায় অল্পসংস্থান এখন চতুর্থ দফা,—সমাজ-সেবার কথা । এই শব্দ ব্যবহার করিলে আমরা বুঝি যে, লোকটা বিনা পয়সায় “দেশোদ্ধার” করিতে আসিয়াছে। আপনি কোথাও একটা বক্তত দিয়া আসিলেন। অথবা দুর্ভিক্ষ হইয়াছে, বন্যা হইয়াছে, দলে দলে লোক পাঠান গেল, স্বেচ্ছাসেবক