বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏄᏬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সনে যুবক ভারত এই পৰ্য্যস্ত আসিয়া দাড়াইয়াছে যে, দুনিয়াটা কোথায় গিয়া ঠেকিয়াছে তার ইঙ্গিত মাত্র পাইতেছে । সূৰ্য্য উঠে পশ্চিমে এখন কথা হইতেছে, আমরা কি এই অবস্থায় থাকিব ? আমরা কি আমাদের নামজাদ জন-নায়কদের কথায় অন্ধ হইয়া থাকিব ? আমাদের মহাপুরুষেরা, জ্ঞানবীরের পাশ্চাত্য সভ্যতার তথাকথিত আহাম্মুকি সম্বন্ধে কত বুজরুকি শিখাইয়াছেন । আমরা কি তাদের কথা-মাফিক ইয়োরামেরিকাকে ভারতের চেয়ে অমৃথী, ভারতের চেয়ে নীতিহীন, ভারতের চেয়ে পাপী বিবেচনা করিয়া সস্তুষ্ট থাকিব ? আমি বলিতে চাই, আজ ১৯২৬ সনে যুবক ভারতের কৰ্ত্তব্য হইতেছে খোলাখুলি বলা—“হে পণ্ডিতগণ, তোমরা আমাদেরকে ঠকাইয়া রাখিয়াছ । তোমরা যা কিছু বলিয়াছ তার অনেক-কিছুর পশ্চাতে যুক্তি নাই, বস্তু নাই । তোমরা যা কিছু বলিয়াছ আমরা বোকার মত, তোতা পাখীর মত মুখস্থ করিয়াছি।” এখন জিজ্ঞাস্ত—১৯২৬ সন ১৯৩০ সনের জন্য প্রস্তুত হইতে রাজী আছে কি না ? ১৯০৫ সন যখন জন্মিয়ছিল তখন আমরা বলিয়াছি,—“১৮৮৬ সন হইতে ভারতে যা কিছু ঘটিয়াছে সে সব কিছুই নয়। সব ভাঙ্গিয়া ফেলিতে হইবে। সেই ভাঙার ভিতর হইতে নতুন দুনিয়া গড়িয়া তুলিব ।" আজ বিশ একুশ বৎসর ধরিয়া যুবক ভারত অনেককিছু ভাঙিয়ছে, অনেক কিছু গড়িয়াছে। কিন্তু তবুও দেখিতেছি ১৯০৫—২৫ সনে বেশী কিছু সাধিত হয় নাই । তাই আজ আবার জোরের সহিত বলিতেছি—“১৯০৫—২৫ সন, তুই কিছুই করিস নাই, অথবা যা কিছু করিয়াছিস সবই মান্ধাতার আমলের জিনিষ । দুনিয়ার সব কিছু ভাঙিয়া চুরিয়া নতুন করিয়া ১৯৩০ সনের জন্ত দুনিয়াকে গড়িয়া তুলিতে হইবে ।”