বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী >ፃፃ তার জন্ত প্রথম দরকার,—পুথিবীটা কি বস্তু তা নতুন ভাবে, গোজামিল না রাখিয়া, অতি সোজা প্রণালীতে নিরেট রূপে বুঝিতে চেষ্টা করা । এই বিষয়ে ভারতের পথ-প্রদর্শক তুকা আর জাপান । ওরা করিয়াছে কি ? খোলাখুলি বলিয়াছে, খোলাখুলি বুঝিয়াছে যে, তুর্কী সভ্যদেশ নয়, জাপান সভ্যদেশ নয় । তুর্কী-জাপানের সভ্যতা, তুর্কী-জাপানের শিক্ষা-দীক্ষা, তুকী-জাপানের আধ্যাত্মিকতা কোথা হইতে আসিয়াছে ? বৰ্ত্তমান কালে স্বৰ্য্য উঠে পুরবে নয়, পশ্চিমে,–তুৰ্কী তাই বুঝিয়াছে। তুকা জানে, কামাল পাশা জানে, “যদি মানুষ হইতে হয় মুসলমানের দুনিয়াকে যদি মজবুত করিয়া তুলিতে হয়, মুসলমানের আধ্যাত্মিক জীবন আনিতে হইবে সূৰ্য্যাস্তের দেশ থেকে ।” সে কথা যুবক জাপানও সোজাস্বজি সম্ঝিয়া রাখিয়াছে । সেই কথাই ১৯২৬ সনের বাঙালীকেও কোন রকম গোজামিল আর হ-য-ব-র-ল না রাখিয়া বার বার বলিতে হইবে । যুবক বাঙলা, বল প্রাণ খুলিয়া :–“ভাই তুৰ্কী, তুষ্ট ওস্তাদ, ভাই জাপান, তুইও ওস্তাদ–ঠিক সময়ে বুঝিয়াছিল বর্তমান এশিয়ায় আধ্যাত্মিকতা কিছুই নাই । এশিয়া যদি মানুষ হইতে চায়, তবে তাহাকে ইয়োরামেরিকার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিতেই হইবে ।" একথা আজ খোলাখুলি চোথের ঠুলি খুলিয়া যুবক ভারত বলুক হাটে মাঠে । ১৯২৬ সন বলুক—যেন ১৯৩০ সনের জন্ত সে প্রস্তুত হইতে পারে। >૨