বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন א"שצ' ছিলেন। এই মুহূর্বের স্থতি আমার মনে না হয় ছ ঘণ্টা থাকুক বা তিন দিন থাকুক। কিন্তু ঐ নেশায় আমার মেজাজ শরিফ কতক্ষণ বা কতদিন থাকিতে পারে বা থাকিলে শোভন হয় ? যদি আমি সেই শুভ মুহূর্তের স্মৃতির রেশ লইয়া তিন বৎসর কাটাইতে চেষ্টা করি, লবাব ছাহেবের সেই ক্ষণিক বন্ধুত্বকে যদি জীবনের এক বড় পুজি বিবেচনা করি, প্রধান মূলধন বলিয়া ভাবি, তাহা হইলে আপনারা আমার পাগলামি দেখিয়! হাসিবেন না কি ? কতক্ষণ আপনার আমার পাগলামি সহিতে রাজি আছেন ? যতই মধুর হোকনা কেন মোলাকাৎ, পরবর্তী মুহূর্তে তাহা থুথু মাত্র, একদম কিন্মংহীন । অতীত সম্বন্ধে আগাগোড়া আমার এইরূপ ধারণা। এখন আপনার আমাকে জিজ্ঞাসা করিতে পারেন “এই যদি অতীত হয় তাহা হইলে আমরা দাড়াই কোথায় ?” এর উত্তরে আমি বলিতে চাই যে, অতীত একটা প্রত্নতত্ত্ব মাত্র-আলমারীতে পুষিয়া রাধিবার জিনিষ —কবরে রাখিবার জিনিষ । জীবনটা হইতেছে বর্তমান—বর্তমানও নয়—ভবিষ্য জুনিয়াকে দখল করিবার প্রবৃত্তি বা প্রয়াস । এমন কোনো কোনো ক্ষণ হয়ত আসিতে পারে যখন এই অতীত সম্বন্ধীয় আলোচনার ভাবে বিভোর হইয়া থাকা অসম্ভব নয়। কিন্তু দিনের পর দিন প্রতি মুহূর্তে জীবনকে গড়িয়া তোলাই, জীবনের স্রোত বাড়াইয়া দেওয়াই কাজের মত কাজ । জীবন-পূজার দেবতা,-যৌবন র্যাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আমার মিল নাই তাদেরকে আমি অসম্মান করিনা। কিন্তু আধ্যাত্মিক হিসাবে তাদের সঙ্গে আমার প্রথম হইতেই আড়ি । বুঝিতেই পারিতেছেন যে, আমার চিন্তায় একমাত্র ধৰ্ম্ম হইতেছে বর্তমান-নিষ্ঠ, জীবন-পূজা। বস্ততঃ আমার বিশ্বাস, -