বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}b^ు নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আগুনেরই গাথা। গ্রীকদের প্রমেখেয়স আমাদের মধুচ্ছনারই মাসতুত ভাই । মান্ধাতার আমলে এরা সবাই যৌবন-শক্তির অবতার, যুবক দুনিয়ার প্রতিনিধি । কিন্তু অন্তান্ত যুবারা দেখিল শুধু আগুনে চলেনা । ঘোড়া চরান, গরু চরান চাই, চাষবাস চাই। তার। এসব মুরু করিয়া দিল । এই রকম আর আর যুবা দেখিল, কেবল এ সবেও চলেন । তারা ছুতোর মিস্ত্রির কাজ আরম্ভ করিয়া দিল। পান্সী তৈরী আরম্ভ হইল । গাড়ী তৈয়ারী হইল, টেকি তৈয়ারী হইল, ঝাটা তৈয়ারী হইল। দুনিয়া নান প্রকার কিস্তৃত কিমাকার “নতুন-কিছু"তে ভরিয়া যাইতে লাগিল । পুরাতনে কোনো যুবাই সস্তুষ্ট নয়। সবাই চাহিয়াছিল যৌবনের স্রোত বাড়াইতে, জীবনকে অনির্দিষ্টের পথে ঠেলিয়া লইয়া যাইতে । দেখিতে দেখিতে পল্লী গড়িয়া উঠিল । এমন সময় আর একজন যুবক দেখিল, শুধু পল্লীতে চলিবেন । "ভাঙ্গ পল্লী, সহর গড়িয়া তোল ।” পল্লীতে পল্লীতে জোড়া লাগান হইল, এমনি করিয়া সহরের স্থষ্টি হইতে লাগিল। আমাদের ভারতীয় যুবকরাও পল্পী ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া সহরের পত্তন করিতে ছুটয়াছিল। সহরে ও ভারতবাসার আধ্যাত্মিকতা আত্মপ্রকাশ করিয়াছে। যে-সে রকম সহর নয়। তার চৌহদি ছিল ২১২১ মাইল । এ আমাদের পাটলিপুত্র । যখন রোম নগরীর সীমানা ছিল মাত্র দশ মাইল। যাক বুঝা যাইতেছে এই, পশ্চিমের যুবার আর পূবের যুবার আদর্শগত কোন তফাৎ ছিল না । এই ভাবে যুবারা দুনিয়ার চাল-চলন কত বিভিন্ন উপায়ে বদলিয়া ফেলিতে লাগিল । রাজা-প্রজার সম্বন্ধ দেখা দিল । জমিদারে রাইয়তে সংস্রব স্বল্প হইল। পরীতে পল্লীতে, শহরে শহরে, পল্লীতে শহরে রেশারেশি মূৰ্ত্তি পাইল। কারিগরদের গিল্ড বা শ্রেণী জাকিয়া উঠিল। ইত্যাদি