বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>3ఈ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন Aeeee eAeeSeAe SeeeeAAAS AAASASAAAAASAAAA নিজ কৃতিত্ব ও কৰ্ম্মদক্ষতা সম্বন্ধে জ্ঞান থাকাটা আধ্যাত্মিকতার অন্তরায় নয়। আত্মবিশ্বাস, আত্মশক্তির উপর শ্রদ্ধা, নিজ নিজ ক্ষমতা সম্বন্ধে আস্থা রাখা এই সব চিজকে দাস্তিকতা, অহঙ্কার ইত্যাদি বলিয়া উড়াইয়া দিতে পারি না। আমার মতে ঐগুল দোষ নয়, গুণ । “অহঙ্কার”-ই হইতেছে আধ্যাত্মিক উন্নতির বনিয়াদ । কাজেই যুবক ভারতকে আত্মচৈতন্তশীল, আত্মশক্তিপরায়ণ এবং আত্মকৃতিত্বে আস্থাবান দেখিতে আমি ইচ্ছা করি। আমার সঙ্গে আপনার একমত হইবেন এরূপ আমি বিশ্বাস করি না ! আমার মতে আপনাদেরকে টানিয়া আনা আমার মতলব নয়। তবে আমার বক্তব্য আওড়াইয়া যাইতে আমি অধিকারী । বঙ্কিম-অষ্টা ১৯০৫ সন বঙ্কিমচন্দ্র যুবক-বাঙ্গল স্বষ্টি করেন নাই । যুবক বাঙ্গলাই বঙ্কিমকে গড়িয়া তুলিয়াছে। বাঙ্গলায় যৌবন-শক্তি ১৯০৫ সনে কেমন করিয়া জাগিয়াছিল, কেন জাগিয়াছিল, এসব প্রত্নতত্ত্বের খোজ করিবার সম্প্রতি দরকার নাই। একদিন যুবক ভারত জাগিয়া উঠিয়া দেখিল একটা জিনিষের তার অভাব । একটা মন্ত্র তার দরকার । এই মন্ত্র হইতেছে “বনে মাতরম্ ।” এটা ১৯০৫ সনে প্রথম ছাপা হয় নাই এটা ছাপা হয় আরও আগে সেই ১৮৮৫ কি ৮৬ সনে কিম্বা ঐ যুগের কোনো এক ক্ষণে। কিন্তু তখন বঙ্কিমকে কেউ বড় একটা পুছে নাই । যখন বঙ্কিমচন্দ্র মরিয়া ভূত হইয়া গিয়াছিলেন তারও অনেককাল পরে বঙ্কিমের তলব পড়িয়াছিল । কে ডাকিয়াছিল ? বুড়োর নয়। যুবক ভারত, যুবক বাঙ্গলা বলিয়া উঠিল, “ঐ একটা লোক আছে, মানুষের মত মানুষ, ওকে খাড়া করিয়া তুলিতে হইবে।” বঙ্কিমের ধারা চরম অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন তারা কল্পনা ও করিতে