পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ॐ२ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন যায় । সে ১৮৯৩ হইত্তে ১৮৯৫ সনের কথা । তার অনেকদিন পরে ১৯০২ সনে তিনি মারা যান। কিন্তু সে যুগের বাঙ্গালীর বিবেকানন্দকে থোড়াই কেয়ার করিত বলিলে বেশী মিথ্যা বলা হয় কি ? তখনকার দিনে বড় জোর তার নামে দুই একটা বোর্ডিং ঘর খোলা হইত। আর সেখানকার ছেলেদের যদি জিজ্ঞাসা করা যাইত—“ওহে তোমরা কেমন আছ ?” তারা উত্তর করিত—“ এখানে বিবেকানন্দ হয় কিনা জানিনা, কিন্তু উদরানন্দ ত মোটেই হয় না ।" র্যাকে একদিন অবতার বলিয়া বাঙ্গালী সমাজ পূজা করিবে তাকে কতখানি ইজ্জত দিতে হয়, তা ১৯০২ সনের যুগের বাঙ্গালী জানিত না । বিবেকানন্দের নামে সমিতি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান চলিতেছে আজ ভারতের সর্বত্র ডজনে ডজনে । বিবেকানন্দ-সাহিত্য প্রায় প্রত্যেক চিত্তাশীল ভারতসন্তানই পাঠ করিয়া থাকেন। বিবেকানন্দের “দরিদ্র-নারায়ণ” বয়েং সেদিন মেয়রক্কপে চিত্তরঞ্জন "মুন্সিপালাইজড” “অফিসিয়ালাইজড” করিয়া নগর-শাসনের অন্ততম লক্ষ্যের মধ্যে খাড়া করিয়া দিয়াছেন । আমরা এই শব্দটা বাঙ্গলার ঘরে ঘরে প্রচারিত করিয়া ছাড়িয়াছি । আবার প্রশ্ন করিতেছি,—রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের নামডাক কবে হইতে ৰাজালী সমাজে একটা জীবন-শক্তিরূপে দাড়াইতে সুরু করিয়াছে ? “আশ্রম”গুলা ফুলিয়া উঠিতে মুরু করিয়াছে কবে হইতে ? ঠিক ১৯ee সনেও নয়, আরও পরে। রামকৃষ্ণ মিশনের বাধিক বিবরণগুলো বাটিয়া অঙ্ক কষিয়া বলিয়া দেওয়া চলে । বোধ হয় ১৯১০ সনের এদিকে ওদিকে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ আন্দোলনের জোয়ার ছুটিতে আরম্ভ করিয়াছে। এই আন্দোলনকে বাড়াইয়াছে কে ? যুবক বাঙ্গলা একটা মামুষের মতন মানুষ খুজিতেছিল । একটা মাজুব খাড়া করিতে গেলে সে দর্শন জানে কিনা, ভাল সংস্কৃত তার দখলে