বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনের দিগ্বিজয় >:లి আছে কিনা, লোকটা পণ্ডিত কিনা এসব দেখিবার প্রয়োজন করে না । বিবেকানন দর্শন জানে কিনা যুবক বাঙ্গল এ খবর লইতে যায় নাই । দেখিয়ছিল,—তার ঐ বাঘা বাঘা চোখ দুটো । ব্যস, আর কুছ পরোয়া নাই । তার ঐ সিংহের মতন পরাক্রম এই হইলেই চলিবে । এর বেশী কিছু দকার নাই । যে মানুষটা বলিবে,—

  • পরাক্রমের মূৰ্ত্তি আমি,—সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ নামে মোরে জানে লোকে ধরাতে, জেতা আমি বিশ্বজয়ী,—জন্ম আমার দিকে দিকে বিজয়কেতন উড়াতে”, সে সংস্কৃত ফণশী জানে কিনা তা ভাবিবার প্রয়োজন করে না ।

আমেরিকার খোলা আসরে দাড়াইয়া প্রথম যেদিন এক গোলামের বাচ্চ জোর গলায় সিংহবিক্রমে বলিয়াছিল “ভারত কাহারও চাইতে ছোট নয়, সেও একটা হাতী ঘোড়া কিছু করিতে চায়—দুনিয়ায় একটা নতুন কিছু করিয়া ছাড়িবে”—তুনিয়া বুঝিয়ছিল যে, জগতে যুগান্তর আসিতেছে । তার অনেক কাল পরে ১৯ • ৫ সনের যুবক বাঙ্গলা দুনিয়ার আর সব জাতির সঙ্গে সমান অধিকারের দাবী লইয়া দাড়াইবার মতন দুঃসাহস দেখাইয়াছিল । তাই বাঙ্গলার যৌবন-শক্তি এই “অহঙ্কারী” আত্মচৈতন্তশীল “দাম্ভিকতার” প্রতিমূৰ্ত্তি কৰ্ম্মবীর “বাপক বেটী" কে নিজেরই অবতাররূপে খুজিয়া বাহির করিয়াছে । বাঙ্গালী-যৌবনের দিগ্বিজয়ে বিবেকানন্দ এক বিপুল কীৰ্ত্তিস্তম্ভ । যৌবন-নিষ্ঠায় আশুতোষ বাঙ্গালীর আর এক “বাপের বেটা” আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। এখানে যত লোক উপস্থিত আছেন,—বাঙ্গলার অলিতে গলিতে যত উকিল দু-পয়সা রোজগার করিতেছেন,—বাঙ্গালী সমাজে বি, এ, ফেল, বি এ পাশ, —গল্প-লেখক, সাংবাদিক, কেরাণী, মাষ্টার যত যা আছেন, তাহাদের రి