বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনের দিগ্বিজয় ృSR আপনারা সকলেই জানেন । আমি তো বিদেশে বসিয়াই অল্পবিস্তর শুনিয়াছি। চিত্তরঞ্জন আশুতোষকে বলিয়াছিলেন, —“তুমি যদি গভর্ণমেণ্টের সম্বন্ধ রহিত কর তবে কালই তোমার হাতে দু’চার কোট টাকা তুলিয়া দিব ।" আশুতোষ একথা বিশ্বাস করিতে পারেন নাই। আমি বলিতে চাই, বিশ্বাস না করাই ঠিক হইয়াছিল,—কারণ, তখন অত টাকা উঠিত না। আর উঠিলেও একমাত্র দুইকোটি চার কোটির জোরেই গোটা বাঙ্গলাদেশের জন্ঠ জাতীয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলা সম্ভবপর নয় । বিশেষতঃ টেকনিক্যাল শিক্ষার ব্যবস্থা করা পাচ সাত দশটা তাজমহল গড়ার বরাত । যাক সে কথা । মোটের উপর বুঝা গেল যে, শেষ পর্যন্ত আশুতোষ যুবক বাংলার সঙ্গে তালে তালে পা ফেলিয়াই চলিয়া ছিলেন,—কেবল পারেন নাই ঐ সম্বন্ধটা টুটাইতে । চিত্তরঞ্জলের গুরু,—যুবক বাঙ্গলা এইবার চিত্তরঞ্জনের কথা । চিত্তরঞ্জন নামজাদ হইয়া পড়িয়াছেন কবে হইতে ? ১৯০৫ সনে তাহাকে বড় বেশী জানা যায় নাই । ১৯১৫ সনেও তিনি বাহিরে। লোকের তাহাকে চিনিত না তা নয়। যুবাদের সঙ্গে তার লেন-দেন ছিল না এ কথা বলিতেছি না। বলিতেছি এই যে, যুবক বাংলার সঙ্গে তিনি তখনও খোলামাঠে যোগ দিতে পারেন নাই। যে চিত্তরঞ্জন ১৯২৪-২৫ সনে গোট বাঙ্গলার, গোটা ভারতের, গোটা ছনিয়ার—এক অদ্বিতীয় বীর সাব্যস্ত হইবে, কেল্লা ফতে করিবে আর সেই কেল্লার মধ্যেই বিজয়-গৌরবের অভিযান সহ জীবন উৎসর্গ করিবে সে চিত্তরঞ্জন তখনও বাহিরে ছিলেন । অঙ্ক কষিয়া বলিয়া দেওয়া চলে চিত্তরঞ্জন কবে আসরে নামিয়াছেন বা নামিতে বাধ্য হইয়াছেন। তথনও আবার আমি বিদেশে, ফ্রান্সে। একদিন কথা প্রসঙ্গে এক