বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫెte নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কিন্তু ১৯০৫-১• এই বছরগুলো আশুতোষের পক্ষে শিক্ষানবিশীর অবস্থা । বাঙ্গলার নাবালকদের কাগুকারখানা র্তাহাকে নিবিড়ভাবে ভাবাইরা তুলিয়াছিল। এই ষে যৌবন-শক্তির প্রচেষ্টা এটা সম্ভব কি ? তাই ছিল ভাবিবার কথা। ১৯০৫ সনে তিনি আমাদের বিরোধী ছিলেন । অনেকেই এ কথা জানে। কারণগুলা আলোচনা করিবার দরকার নাই । ভাবিতে ভাবিতে অনেক বছর কাটিয়া গেল। আসল কথা হইতেছে যুবক বাঙ্গলার কৃতিত্ব, দুরাকাজক্ষ, অসাধ্য সাধনের প্রয়াসই র্তাহার মনের উপর কাজ করিতেছিল । যুবক বাংলাই তাহাকে সাধনায় সিদ্ধি লাভের যন্ত্র আবিষ্কারের পথে চালাইয়াছে,—অtশুতোষকে সেনাপতি করিয়া তুলিয়াছে। তাহার ফলেই আজিকার বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়। যুবক ভারতের নিকট আশুতোষের পরাজয়টাই আশুতোষের বীরত্বের ভিত্তি । যুবক যা চিন্তা করে, বুড়োরা তা ভাবিতে পারে না। নাবালক নায়কের পেছনে পেছনে থাকে বুড়োরা। ১৯০৫-৬ সনের “জাতীয় শিক্ষার” বাণী সেকালের বহু গণ্য-মান্ত বাঙালীর নিকটই অতি চরম কিছু মনে হইয়াছিল। কিন্তু ১৯০৫ সনে যুবক বাঙ্গলা শিক্ষা-সাহিত্য-বিজ্ঞানশিল্পের আসরে যা কিছু চাহিয়াছিল, তার প্রায় সবই আজ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মজুদ দেখিতে পাইতেছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেকটা নিম-“জাতীয়” প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাই আশুতোষের মহত্ব । অবশ্য আজ আবার অনেক দিকেই সংস্কার দরকার । তবুও একটা “কিন্তু” আছে । যুবক বাংলার চরম কথা এখনো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই, কেন না সরকারের শাসন এখনো এই পাঠশালায় চলিতেছে। আশুতোষ বিদ্যালয় হইতে গবমেণ্টের সম্বন্ধ একেবারে রহিত করিয়া দিলেন না কেন ? এ বিষয়ে “অসহযোগের” যুগে,–১৯২২ সনে বোধ হয় চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে দু’একবার তাহার বচসা হয় । সে সব কথা