বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনের দিগ্বিজয় ২৯৩ আজ ১৯২৬ সন । যুবক বাঙ্গল ১৯০৫ গড়িয়াছিল, ১৯১৫ গড়িয়াছিল,—এইভাবে পর পর প্রত্যেক মুহূৰ্ত্তই গড়িয়া আসিয়াছে । আজকেও তাকে আবার নূতন একটা কিছু গড়িয়া তুলিতেই হইবে। প্রবীণের কোনোদিন নবীনকে গড়ে নাই। চিরকালই প্রবীণেরা , নবীনদের পেছনে পেছনে ভয়ে ভয়ে অগ্রসর হইয়াছে। আজও তাঁহাই হইবে । এই আত্মচৈতন্য, এই অহঙ্কার, এই ব্যক্তিত্ব-নিষ্ঠাই আজ যুবক ভারতের আবশ্যক। ১৯১৬ সনের যুব সদৰ্পে বলুক,—“রে অতীত তুই আমার থুথু তুষ্ট চরিয়া থা ! রে ১৯০৫ হইতে ২৫, তোকে কল দেখাইতেছি । তোকে মিউজিয়মে রাখিয়া দিব, তুই সেখানে আলমারীর কাচের মধ্যে সযত্নে তোলা থাকিবি , রে ভবিষ্যৎ, বর্তমানকে ভাঙিয়া টুকরো টুকরো করিয়া নূতন জীবন গড়িয়া তুলিতে পারিব কিনা জানি না, তবে আমাদের একমাত্র কর্তব্য অসাধ্য-সাধন ৷” প্রথমেই বলিয়া রাখি,–১৯২৬ সনট1–১৯০৫ বা ১৯১৫এর মত অত সরল-সহজ নয় । এটা অতি জটিলতাপূর্ণ। অনেক ভজকট আসিয়া জুটিয়াছে আমাদের জীবনে । আজ যুবার পক্ষে একটা কিছু করিতে হইলে অনেক কাঠখড়, অনেক তেলমুন দরকার । এযুগে অসাধ্যসাধনের কল্পনা করা যারপরনাই কঠিন । এই জটিলতার দুএকটা কথা এখনি আপনাদিগকে শুনাঙ্গতে চাই । কিন্তু শুনিলেই আপনার বোধ হয় আমাকে একেবারে মারিয়াই ফেলিবেন । ভথাকথিত ভারতীয় ঐক্য প্রথম কথাটা হইতেছে এই যে,—ভারতবর্ষ এক দেশ নয়। ভারতীয় ঐক্য একটা মিথ্যা কথা । ১৯০৫ সনের আগে এবং পরে আজ পর্য্যন্ত