বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* o8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আমরা এই মিথ্যাটা মুখস্থ করিয়া আসিয়াছি। কিন্তু একটা নয়া সত্যের সঙ্গে ১৯২৬ সনের যুবক ভারতকে পরিচিত হইতে হইবে, এতে অভ্যস্ত হইতে হইবে । বাঙ্গালীর সঙ্গে ত্রিবাঙ্কুরের এক প্রকার কোন মিল নাই । মারাঠীরা তেলেগু বোঝে না, বুঝিতে পারে না। পাঞ্জাবীর মাঙ্গাজীকে বোঝে না, বুঝিতে পারে না । তাই বলিব এই ঐক্য—এই ভারতীয় ঐক্যের কথা একটা বোল মাত্র । আসল বস্তুনিষ্ঠার দিক দিয়। এ সমস্তার দিকে অগ্রসর হইলে বলিতে বাধ্য হইব যে, —ইয়োরোপ যদি এক দেশ হয়, পৰ্ত্ত গাল যদি রুশিয়াকে ভাই ভাই রূপে আলিঙ্গন করিতে পারে, তবেই ভারতবর্ষের পক্ষেও একদেশরূপে বিবৃত হইবার দাবী চলিতে পারে । এতদিন দেশের জননায়কের দেশের লোককে যা শিখাইয়াছে তার গোড়ায় গলদ । ভারতবর্ষ এক দেশ নয়, ভারতীয় ঐক্য মিথ্যা কথা। এই তথ্যটা ১৯২৬ সনে আজ যুবক ভারতকে বেমালুম হজম করিয়া লইতে হইবে । এই নিরেট তথ্যের সঙ্গে খাপ খায় এমন একটা নয়া যৌবন-বিজ্ঞান আজ নবীন ভারতকে গড়িয়া তুলিতে হইবে । তথাকথিঙ প্রাদেশিক ঐক্য ১৯২৬ সনের দ্বিতীয় বাণীও এই মুরেই গাথা । গোটা ভারতে ঐক্য থাকা তো দূরের কথা, এর এক একটা প্রদেশের মধ্যেও ঐক্য নাই। দৈশিক ঐক্য বলিয়া কোন জিনিষ কোনে প্রদেশেই দেখিতে পাওয়া Tন। ১৯০৫ সনে এই ঐক্যটা প্রথম স্বতঃসিদ্ধরূপে ধরিয়া লওয়া ছইয়াছিল। মজুর-মনিব, জমিদার-রায়ত, বড়লোক-গরীব লোক, সবাই একসঙ্গে নাচানাচি করিবার ভাণ করিয়াছিল। কিন্তু আজ সকলেই