বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ、>6 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আপনার সজ্ঞানে বিচার করিয়া দেখুন আজ এই পঞ্চাশ বছর ধরিয়া বাংলার মধ্যবিত্ত হাজার হাজার পরিবারে অন্ন যোগাইতেছে কে ? বাংলার “ভদ্রলোক”-সমাজ এতদিন ধরিয়া বিদেশীর মূলধন হজম করিয়া মানুষ হইয়া আসিতেছে না কি ? আমার মতে আরও বেশ কিছু কাল বিদেশীর পুজি আমাদেরকে হজম করিতে হইবে, তাহাতে আমাদের মাথা যতখানিই হেঁট হইয়া পড়ক না কেন । বিদেশীর মূলধন এদেশে থাকিলে আমাদের দেশের ধনী বড় বড় লোকদের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটিবে, একথা জানি । কিন্তু আজ এর চাইতেও বড় কথা ভাবিতে হইবে । এই মুষ্টিমেয় ধনী সম্প্রদায় ছাড়া বাংলার লক্ষ লক্ষ নিরন্ন কুটারবাসীর,-আমার আপনার মত আধপেট-খাওয়া অসংখ্য মধ্যবিত্তের—আর মজুর-চাষীর কথা:ভাবিতে হইবে। এর প্রধান উপায় বিদেশী মুলধন । এই বিদেশীর গাটরীর টাকাই বাংলাভূমিকে সুজলা সুফলা শস্তহামলা করিয়া তুলিবে । ১৯২৬ সনের যুবক বাংলাকে বিদেশীর নিকট মাথা নোয়াইয়া নিৰ্ম্মম কঠিন কঠোরভাবে বাস্তব সত্যটা বরদাস্ত করিতে হহবে । পারিরে কি ? বুকের পাট। চাই । স্বরাজ-সাধনার নয়া সমস্যা আজ দেশের আর্থিক উন্নতি করিতে হইলে, দরিদ্র দেশের হাওয়া বদলাইতে হইলে ঐ বিদেশীর অর্থের পানে চাহিতে হইবে । স্বদেশী আন্দোলনের জন্য বিদেশ হইতে পুজি আনিতে হইবে। বিদেশী পুজিই আজকালকার অবস্থায় যুবক ভারতের মস্ত বড় উদ্ধারকর্তা । নেহাৎ ঠোট-কাটার মতন এ কথাটা বলিয়া যাইতেছি। ব্রিটীশ পুজির সঙ্গে আরও কিছুকাল যুবক ভারতের কুণিশ করিয়া চলিতে হইবে,—তাহাতে