বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনের দিগ্বিজয় ミ〉 > ভারতের জাতীয় সম্মানে আঘাত পাইলেও ক্ষতি নাই । শীঘ্র শীঘ্র স্বদেশী মূলধন যথোচিত পরিমাণে গড়িয়া তুলিবার ক্ষমতা আমাদের দেখা যাইতেছে না যে ! এখন প্রশ্ন হইতেছে, বিদেশী মূলধন এদেশে রাখিতে গেলে স্বরাজ আন্দোলনটা কোথায গিয়া দাড়াইবে ? স্বরাজ আন্দোলন তাহা হইলে চলিবে কি ? আমার তো বিশ্বাস এ দুইটা কিছু কিছু পরস্পর-বিরোধী জিনিষ, আবার কিছু কিছু পরস্পর-সহায়ক ও বটে। এ বিষয়ে সম্প্রতি আর কিছু বলিব না । কিন্তু ভারতের আর্থিক বনিয়াদের গাথনি শক্ত করতে চাহিলে তাহার ভিতর যতখানি বিরোধ আছে সেটাকে এড়াইতে গেলে চলিবে না । কথাটা খুব গভীরভাবে ভাবিয়া দেখা দরকার । দুনিয়া বড় সোজা চিজ নয় । এই সমস্ত বিরোধ, এই সব কাঠিন্ত বা দুৰ্গতির কথা নিরেট সত্যের তরফ হঠতে আলোচনা করিতে হইবে । গভীরতম নৈরাশুকে হজম করিয়া তাহার উপর আশার বাণী প্রতিষ্ঠিত করা চাই । মোজ মিল রাখিলে ই ঠকিতে হইবে । চাই লাখ লাগ নতুন সঙ্ঘবদ্ধ মজুরের অন্ন মজুরদের পেটে ভাত জুটিলেই চাষীদের আর্থিক উন্নতি ঘটিতে থাকিবে । আর কেরাণীকৰ্ম্মচারীদের অন্নসংস্থান ও মজুদের ঐ বুদ্ধির সঙ্গেই জড়িত। মজুরদের পেছন পেছন স্বরাজ ও ছুটতে থাকিবে । যুবক ভারত, ভাবে মজুরস্বষ্টি ও মজুর-পুষ্টির কথা। মধ্যবিত্তের পথ আপনাআপনিষ্ট পরিষ্কার হইয়া আসিবে । আজ মজুরদের একমাত্র অথবা সৰ্ব্বপ্রধান অন্নদাতা বিদেশী মুলধন এই বিদেশী মূলধনের ঠেলায়ই ভারতে স্বরাজ আসিয়া হাজির হইবে । 嘲

  • স্বদেশ পুজির বিকাশ সম্বন্ধে "ব্যাঙ্ক-গঠন ও দেশোল্পতি” অধ্যায় দ্রষ্টব্য।