বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

있》8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন হিন্দু হষ্টেলের এসব গুণ ত আছেই, চিরকালই থাকিবে। আমার কাছে হিন্দু হষ্টেল আরও অন্তান্ত কারণে অতি প্রিয়। এই আড্ডাতেই, এখানকার আবহাওয়াতেই আমরা ১৯৯৫ সন কাটাইয়াছি। এখানকার আডডায় কান পাতিয়াই আমরা জাপানের কণমান দাগা শুনিয়াছি। কেমন করিয়া জাপানের কণমান এশিয়ার এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রান্ত পৰ্য্যন্ত ছুটিয়া যাইতেছে, সে সব আমরা এখানেই গুলতান করিতে করিতে দেখিয়াছি । এশিয়ার কামান কেমন করিয়া ইয়োরোপ ডিঙ্গাইয়া আমেরিকার পোর্টসমাউথ শহরে গিয়া এশিয়াবাসীর দিগ্বিজয় সম্বন্ধে ডিক্ৰীজারি করিয়া ছাড়িয়াছে, তাও আমরা হিন্দু হষ্টেলের আডডাতে আডডাতেই শুনিয়াছি । ঐ আডডাতেই আবার বাংলার ৭ই আগষ্ট আর ১৬ই অক্টোবর জন্মিয়াছে। ভারতের সেই চিরস্মরণীয় ১৯০৫কে আমরা এই হিন্দু হষ্টেলেই পায়দা করিয়াছি। তারই ফলে যুবক বাংলা, যুবক ভারত ইত্যাদি বস্তু। আর তারই ফলে আশুতোষ, চিত্তরঞ্জন ইত্যাদির বীরত্ব কৃতিত্ব, মহত্ব। কাজেই হিন্দু হষ্টেলের আডড কেবল আমারই জীবনের একটা বড় জিনিষ এরূপ নয় ; এটা যুবক বাংলার জীবনস্মৃতিতে, তার জীবনের গতি-ভঙ্গীতে একটা বড়-কিছু করিয়া গিয়াছে। ভবিষ্যতেও হিন্দু হষ্টেল বাংলায় আর ভারতে বড় বড় অনেক-কিছু করিবে । ছোড়ার বুড়োদেরকে মানছে না কিছুদিন হইল আমার সঙ্গে একজন নামজাদা জননায়কের কথা হইতেছিল । তিনি বলিতেছিলেন—“ওরে বিনয়, আর কি সেদিন আছে ? দেশের অবস্থা কেমন বুঝিতেছিস্ ?” আমি বলিলাম—“অবস্থা ত বেশ ভালই মনে হইতেছে।” তিনি বলিলেন—“তুই এতদিন