বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন ૨2G: বিদেশে লম্ফঝঙ্ক করিয়া আসিয়া মনে করিতেছিস্ দেশ খুব বড় হইয়াছে। আসল ব্যাপার বুঝিতে পারিতেছিস্ না। আজকালকার ছোড়াগুলা বেয়াড়া, আমাদেরকে আর মানিতেছে না।” যেই তিনি একথা বলিলেন তখনি আমি বলিলাম—“যাক, বাচা গিয়াছে। তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে যে, দেশটা আবার উন্নতির পথে অগ্রসর হইয়াছে। বুড়োদের বিরুদ্ধে ছোড়ার বিদ্রোহী হইতেছে।” ছোড়াদেব উপর বুড়োদের অত্যাচার এ কয় বছর ধরিয়া ভারতের এক প্রধান তথা । কেবল শিক্ষা-কেন্দ্রের আবহাওয়ায় নয়, গোট যুবক ভারতের সকল কৰ্ম্মক্ষেত্রেই এ একটা প্রধান বিষ। প্রবণের চেষ্টা করিতেছে ছোড়া গুলোকে কোন না কোন উপায়ে জব্দ করিতে হইবে। নবীন আর প্রবীণে লড়াই চলিয়াছে। প্রবীণের চেষ্টা করিতেছে নবীন যাতে মাথা না তুলিতে পারে, আর নবীনদের মধ্যেও গুটিকয়েক “ভাল ছেলে" আছে, তারা ৫ s!৬০৬৫ বৎসরের বুড়োরা যা-কিছু বলিবে, তার মধ্যে হয় একটা দর্শন, ন হয় বেদান্ত, না হয় গীতা, কিছু না কিছু খুজিয়া বাহির করিবেষ্ট করিবে । সুতরাং যখনই ঐ নামজাদা জননায়ক মহাশয় বলিলেন—“ছোড়ার বড় ত্যাদড় হইয়াছে,” তক্ষুণি আমি বুঝিলাম -এবার তাহা হইলে আধ্যাত্মিক দাওয়াই কিছু বাহির হইয়াছে। তিনি দুঃখের সহিত বলিলেন—“দ্যাখ, তোদেরকে আমরা যা-কিছু বলিতাম তোরা তাই করতিস । আজকালকর দিনের একটা ছেলেকে জিজ্ঞাসা করিয়া দ্যাথ, কোন একটা কাজের কথা বল, কেহ গায় তুলিবে না।” শুনিবৰ্ণমাত্রই তাকে সোজাসুজি ভাবে জবাব দিলাম, “এই যে ছোড়ার আপনাদেরকে মানিতে চায় না, বুঝিয়া রাখুন এষ্টটিই আমাদের অধ্যাত্মজীবনের নবীন সুপ্রভাত , ছোড়ারা যদি আপনাদিগকে না মানে, আর আপনার যদি বুঝেন যে, এই ছোড়াদের পিছনে চলিয়া আপনারাও