বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন ২১৭ তোকে আমাদের দুয়ারগুলো খুলিয়া দিতেছি । আসরে বসিয়া যা পারিস বকিয়া যা । আর পারিস্ ত ছাপার হরপেও দাগ রাপিয়া যা কিছু কিছু। আর কেহ তেমন বলিতেছে না ।" আমিও তাদেরকে বলিয়াছি—“ব্যস্, সম্প্রতি আর কিছু আমি চাই না । কেবল তোমাদের আসরে গাহিয়া যাইবার ; ধী নতাটুকু পাইলেই বৰ্ত্তিয়া যাই ।” লোকটা বখিয়া গিয়াছে আমার বক্তব্য হইতেছে ত্যাদড়ামি । যেদিন হইতে স্বদেশে পদার্পণ করিয়াছি, বোম্বে নামিবার পর হইতে যা-কিছু বলিয়াছি, ঘটনাচক্রে দেপিতেছি আমাদের লোকের সঙ্গে মিলিতেছে না । ভারতের স্বদেশসেবকেবা বলিতেছে—“বিদেশী মূলধন আমাদের সৰ্ব্বনাশ করিতেছে ।” অ।মি জোসে তাপ উণ্টো বলিতে ছি। আমি বলিতেছি, “বিদেশী পুজিষ্ট সম্প্রতি আৰ ৪ কিছুকাল ভারতের উন্নতির একমাত্র না হোক মস্ত বড় উপায়” । দেশের র্যাবা মহা পণ্ডিত—লাল৷ লাজপৎ রায়, পণ্ডিত মতিলাল নেহেরু প্রভৃতি সকলেই কৃমি কমিশনের বিরুদ্ধে বলিতেছেন । সেদিন আমাকে যখন একজন কাগজ ওদাল" জিজ্ঞাসা করিলেন-- আমি তার উণ্টো বলিলাম । বলিয়া দিলাম—“রুষি-কমিশনে ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নাই ।” কারেন্সি কমিশনের রিপোর্ট বাহির হইয়াছে, বোম্বাইয়ের পুরুষোত্তমদাস ঠাকুরদাস এ সম্বন্ধে যে কথা বলিয়াছেন, আসমুদ্রহিমাচল তাকেই ভারত-আত্মার বাণী বলিয়া গ্রহণ করিয়াছে । কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমি তার বিরুদ্ধে মত দিয়াছি । ত্যাদড়ের পাল্লায় পড়িয়া, আশা করি, আপনারা সে মত গ্রহণ করিবেন না ! বিশ-পচিশ বৎসরের ত্যাদড়ামি ; একদিনের নয়। কাজেই আজকের সভাপতির অভিভাষণে শুদ্ধ ভাষা বলিতে একেবারেই অক্ষম, আর তা