বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さらや নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন মানুষ হইবেন, তাহা হইলে বুঝিব আপনার এই বুড়ে বয়সে আবার যৌবনের জীবনটা চাথিয়া যাইতে পারিবেন।” এই সব কথা আমার ভাল লাগে এই জন্য,—মাপ করিবেন “আমি” শব্দ ব্যবহার করিয়াছি, আমার নিজের কথা একটু বলিতেছি, বেয়াড়। র্ত্যাদড় বলিলে যা বুঝায়, ঘটনাচক্রে আমিও তাই । অনেকে আমার সম্বন্ধে মনে করিয়াছেন—“বিদেশ হক্টতে ফিরিয়া আসিয়া লোকটা বথিয়া গিয়াছে ; আগে ত ছিল ভালই, আজকাল তাকে বুঝাই যাইতেছে না। ঠিক উণ্টো পথে যাইতেছে।” নিজের কৈফিয়ৎ স্বরূপ আমি এইটুকু শুধু বলিতে চাই,-আত্মকাহিনী বলা উদ্দেশু নয়—১৭১৮ বৎসর বয়স হইতে যা-কিছু করিয়াছি অথবা প্রায় বার বৎসর বিদেশে থাকিবার সময় যা-কিছু করিয়াছি,—সবই ছাপার হরপে লেখা আছে,—তার কিছুই অন্ত লোকে যা বলিয়াছে তার সঙ্গে এক প্রকার মেলে না । ১৯১৪ সনের আগেকার যুগেও সকল বিষয়েই বেয়াড়ামি ও র্ত্যাদড়ামি আমার ছিল। আর এই বিদেশ-প্রবাসের বার বছরও লোকজনের সঙ্গে অমিলেরই প্রকাও যুগ । আমেরিকা, ফ্রান্স, জাৰ্ম্মাণি, ইংলণ্ড, চীন, জাপান যেখানে যেখানে আমার ডাক পড়িয়াছে,—কি প্যারিসের “আকাদেমী’, কি বালিনের বিশ্ববিদ্যালয়,—সৰ্ব্বত্রই লোকগুলো দেখিয়াছে—“এই লোকটা যা কিছু• বলিতেছে, কোন ফরাসী, জার্মাণ, বা আমেরিকান কখনও তা বলে নাই । কেবল তা নয়, ভারতবর্ষের যত লোক বিদেশে গিয়া প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার আদর্শ লইয়া ৩•৷৪০৷৫০ বৎসর ধরিয়া যা-কিছু বলিয়াছে, এমন কি ভারতবাসী সম্বন্ধে যে মতামত তারা প্রচার করিয়াছে, তার সঙ্গেও এই লোকটার মিলে না ।” আমার সঙ্গে কোন লোকের বনিবনাও হয় না । মজার কথা । সেই জন্তই ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ আমেরিকান,— এরা আসিয়া ডাকিয়া বলিয়াছে—“তুষ্ট যা-কিছু বলিতেছিস, বলিয়া যা ।