বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३.९२ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ত্যাদড়ামি-বেদান্তের পাঁচটী সত্য সম্প্রতি প্রচার করিতে পারি। প্রথমস্বত্র নিম্নরূপ। গড্ডলিকাওয়ালারা বলেন “ভারতবর্ষ ক্রমে জাহান্ন মে যাইতেছে।” ত্যাদড় বলিতেছে—“একথা ঠিক নয়, ভারত দুনিয়ার পথেই চলিয়াছে।” আমি ত বাঙ্গালীর বাচ্চা, বিদেশে গিয়া যখন ইংলণ্ড, আমেরিকা, চীন, জাপান, ফ্রান্স, জাৰ্ম্মাণি দেখিলাম, তখন ত একথা আমার মনে হয় নাই যে, ভারতবর্ষ জাহান্ন,মে গিয়াছে বা যাইতেছে। মনে হইয়াছে ঠিক উণ্টো । দেখিয়াছি যে, ইয়োরোপ ও আমেরিকা ঠিক যে পথে চলিয়াছে, যে আদর্শে চলিয়াছে, গত একশত বৎসর ধরিয়া ভারতও সেই পথে চলিয়াছে। পশ্চিমের এসব দেশ আগে কৃষিপ্রধান ছিল, এখন আস্তে আস্তে শিল্প-প্রধান, কারখান-প্রধান, ষন্ত্র-প্রধান হইয়া দাড়াইয়াছে, আমাদের দেশেও ঠিক তাই হইয়াছে। ইয়োরোপ ও আমেরিকার সর্বত্রই আগে পল্লীস্বরাজ ছিল । সেগুলি ভাঙ্গিয়া চুরিয়া এখন সেখানে নতুন কিছু দাড়াইয়াছে। এই ভারতেও আজ পল্লীসমাজ ভাঙ্গিয় চুরিয়া নতুন রকম জিনিষ গড়িয়া উঠিয়াছে। তেমনি রাষ্ট্রীয় জীবনে বিলাত বলিয়া কোন দেশ চিরকাল ছিল না, একটার জায়গায় পঞ্চাশটা বিলাত ছিল। ফরাসী দেশে আড়াইশ রকমের বিভিন্ন আইনকানুন ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে ছিল । একটু একটু করিয়া ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে এসব দেশ এখন "জাতিতে” পরিণত হইয়াছে । আমাদের এখানেও রাঢ় বরেন্দ্র বঙ্গ সব ভাঙ্গিয়া চুরিয়া এখন একটা দানা বাধিয়া উঠিয়াছে। সেই দানাট পরাধীনতা সত্ত্বেও ঠিক ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ, ইংরেজের দানারই মতন ঐক্য-গ্রথিত । পরাধীনতা বনাম স্বাধীনতা আমি বলিতে চাহ, খাটি রাষ্ট্রীয় পরাধীনত থাকা সত্ত্বেও,—আশ্চর্য্যের কথ,—ইয়োরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ যে পথে যে আদর্শে এবং যে