র্ত্যাদড়ের দর্শন ২২৩ সভ্যতার দিকে ছুটিয়াছে, এই ভারত এবং বাংলাদেশও সেই পথ, সেই আদর্শ এবং সেই সভ্যতার দিকেই ছুটিয়া চলিয়াছে । এ বিষয়ে ত্যাদড়ের যে মত তা সাধারণ মতের ঠিক উণ্টে । কেননা, পরাধীনজাতি, সে কিনা আজ সভ্যতার পথে চলিয়াছে ? সভ্য, উন্নত ও স্বাধীন দেশের লোকেরা ষে প্রণালীতে কাজ চালাইতেছে, এই পরাধীন দেশের লোকেরাও সেই প্রণালীতে কাজ চালাইতেছে, এটা কল্পনা করা পৰ্য্যন্ত গডডলিকাওয়ালাদের পক্ষে কঠিন । * আমি বলিতে চাই যে—দুনিয়ার পথ এক, সবাই জুনিয়ার পথে চলিয়াছে । তাই বলিয়া ইংরেজের কাছাকাছি বাঙ্গালী আসিয়াছে, কি ফরাসীর কাছাকাছি মারাঠা আসিয়াছে অথবা জাৰ্ম্মাণের কাছাকাছি পাঞ্জাবী আসিয়াছে তা বলিতেছি না । ভারত যদি আজ স্বাধীন থাকিত তাহা হইলেও সভ্যতা, আদর্শ ও জীবনের যেরূপ গতি আজ দেখিতেছি তাই থাকিত, নতুন কিছু হইত না । ভারত চরম স্বাধীনতা লাভ করিলেও । এমন কিছু করিতে পারিবে না, যা ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ ও ইংরেজ ইত্যাদি জাতির মধ্যে স্থঃ হয় নাই ব৷ হইবে না । ইয়োরোপেও স্বাধীন এবং পরাধীন আথৰ নিম-স্বাধীন দেশ আছে । এশিয়ায়ও স্বাধীন এবং পরাধীন দেশ আছে। জিজ্ঞাসা করি, জাপান স্বাধীন থাকিয়াও এমন কিছু অঘটন ঘটাইতে পারিয়াছে কি ষ ইয়োরোপ বা আমেরিকা পারে নাই ? স্বাধীন জাপানী এবং পরাধীন বাঙ্গালী এ দুইয়ের অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান হিসাবে কোনো তফাৎ যদি আমাকে দেখাইতে পারেন, তাহা হইলে বলিব —আমি - এ পর্য্যন্ত যা-কিছু বলিয়াছি সবই আহাম্মুকী । জাপানীরা এমন কিছু হাতীঘোড়া করে নাই,—কোনো মার্কামারা পশ্চিমাদের অজানা নতুন পথে চলিতেছে না। জাপানী ও বাঙ্গালীতে তফাৎ এইটুকু ষে, ওদের মানোয়ারী জাহাজ আছে, আমাদের নাই, ওদের কজাতে উড়ো জাহাজ চলে, আমাদের উড়ো জাহাজ নাই, ওদের ট্যাঙ্ক- '
- ና ~, ;a التي يبية*
يمية
