র্ত্যাদড়ের দর্শন ২৩১ SeMAeeeASAeeAeeAMAMAAAA শ্রেণী-বিপ্লব তারপর আজ যাকে মধ্যবিত্ত বলিতেছি, ত্রিশ-চল্লিশ-ষাট-পচাত্তর বৎসর আগে সে মধ্যবিত্ত ছিল না । আজকে যাকে ভদ্র বলিতেছি, ত্রিশ-চল্লিশষাট-পচাত্তর বৎসর আগে সে বোধ হয় ভদ্র গণ্ডীর বহিভূত অর্থাৎ“অ-ভদ্র” ছিল । কতজন সে খবর রাখেন ? ব্রাহ্মণই হউক, কায়স্থই হউক, বৈদ্যই হউক, কি অন্তান্ত জাতের লোকই হউক, তারা ১৮১৫—৫৭ সনে আজকালকার মাপকাঠি অনুসারে"ভদ্র’বা মধ্যবিত্ত বিবেচিত হইত কিনা সন্দেহ এ বিষয়ে মাথা খেলানো আবশ্যক । সেদিকে গডডলিকাওয়ালারা ক্ৰক্ষেপই করেন না। কাজেই আগেকার চেয়ে মধ্যবিত্তের অবস্থা খারাপ হইয়াছে, একথা স্বীকার করিয়া চলা সুকঠিন । অধিকন্তু এখনকার মাপকাঠিতে বাংলার আর দুনিয়ার ভদ্রলোকের গণ্ডী অনেক বেশীদূর বিস্তৃত হইয়া পড়িয়ছে। বুঝিতে হইবে এই পঞ্চাশ-পচাত্তর বৎসরের ভিতর একটা সমাজ-বিপ্লব ঘটিয়া গিয়াছে, অর্থাৎ ছোট জাত বড় জাত হইয়াছে । আমি জিজ্ঞাসা করি, এটা কি ভারতের দুরবস্থার লক্ষণ ? ছোট জাত ক্রমশঃ বড় হইয়া উঠিতেছে। যে লোক পাঠশালার পুথি পড়িতে পারিত না, তার বংশধর মাইনর, এণ্ট,ান্স, এল-এ, বি-এ পাশ করিয়া হাইকোর্টের উকীল হাকিম পর্য্যন্ত হইতেছে। এগুলি কি ভারতের দুরবস্থার লক্ষণ, মধ্যবিত্তের দুরবস্থার লক্ষণ ? অধিকন্তু, ধরা যাক যেন আজকাল কোন কোন জেলায় কোন কোন মধ্যবিত্ত পরিবারে আর্থিক দুরবস্থা দেখা যাইতেছে। কিন্তু তা বলিয়া বাংলাদেশের গোটা মধ্যবিত্ত সমাজই কষ্টে আছে, একথা অন্তান্ত পরিবারের লোকজন কোন মতেই স্বীকার করিবে না । তা ছাড়া গোটা মধ্যবিত্ত সমাজই যদি রসাতলে যায়, তাহলেও সমগ্র বাংলাদেশ মাটি হইতে চলিল, একথাও বলা চলিবে না । কেন না,
