বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন SOరి পৰ্য্যস্ত মাহিনা পাইবে । সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মধ্যবিত্ত লোক যারা বি-এ, এম-এ পাশ করিয়া পথ খুজিয়া পাইতেছে না বলিয়া নৈরাশুময় হইয়া পড়িতেছে, তারা ফ্যাক্টরীতে গিয়া এঞ্জিনিয়ার, কেরাণী, অ্যাকাউণ্টেণ্ট, যা হয় একটা কিছু হইবে। অর্থাৎ মধ্যবিত্ত যে কাজ মাথা আর কলম দিয়া চালাইতে সমর্থ সেটা সে ফ্যাক্টরীতে চালাইবে । ফ্যাক্টরী এক সঙ্গে চাষীকে এবং মধ্যবিত্তকে রক্ষা করিবে ।” অবশ্য এখানে বলিয়া রাখা উচিত যে, বিগত ১৫২০ বৎসরের ভিতর মজুরের আর্থিক হিসাবে বেশ উন্নতির দিকে অগ্রসর হইয়াছে। চাষীদের অবস্থাও আগেকার তুলনায় অপেক্ষাকৃত সচ্ছল। কিন্তু মধ্যবিত্তের চাষী ও মজুরদের আর্থিক সচ্ছলতাকে দেশের সচ্ছলতা বিবেচনা করিতে অভ্যস্ত নয় বলিয়া হিসাবে গণ্ডগোল হয় । আর একটা কথা জানিয়া রাখা দরকার। মজুরের দল পুরু না হইলে ভারতবর্ষ আধুনিক সভ্যতার কোঠায় উ চাইয়া যাইতে পারিবে না। যন্ত্র-নিষ্ঠ, সময়-নিষ্ঠ, শাসন-নিষ্ঠ মজুরের সঙ্ঘবদ্ধ হইলেই ভারতীয় সমাজে সাম্যবাদ, গণতন্ত্র, ডেমোক্রেসি ইত্যাদি চিজের আধ্যাত্মিকতা ছড়াইয়া পড়িতে থাকিবে । মজুর-দর্শন, মজুর-গীত, মজুর-বেদান্ত যতদিন ভারতে অজ্ঞাত বা অবজ্ঞাত থাকে, ততদিন পর্য্যস্ত আমাদের রাষ্ট্রীয় ও আর্থিক স্বরাজ অসম্ভব । ইয়োরামেরিকার বিভিন্ন দেশে যতটুকু ডেমোক্রেসি বা স্বরাজ আজকাল দেখা যায়, তার প্রায় ষোল আন না হোক অনেকটাই মজুরসঙ্ঘের আর মজুর-আন্দোলনের দান । বিলাতের কথা ধরুন। সেখানে ১৮৩২ সনের “রাষ্ট্রসংস্কারে” আসল ডেমোক্রেসি পায়দা হয় নাই। এমন কি ১৮৬৬ সনের ধাক্কায়ও এই চিজ বেশী আসে নাই | ডেমোক্রেসি বা সাম্যনীতির অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ১৮৮৬ সনের আর তার পরবর্তী আইন