বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ა.\98 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কামুনের সস্তান। এই চল্লিশ বৎসরের আইনকান্থনের গোড়ায় মজুরজীবনের শক্তি ছিল প্রচুর । ১৯২৪-২৫ সনে মজুর-শক্তিই বিলাতী সমাজের একপ্রকার অগদ্যাশক্তি । যুবক ভারত আজ ১৮৮৬ সনের বিলাতী আধ্যাত্মিকতা আর তার পরবর্তী ও সমসাময়িক পাশ্চাত্য ডেমোক্রেসি বা স্বরাজ সমঝিতে অসমর্থ। আমরা এখনো বোধ হয় ১৮৩২-৭৫ সনের পাশ্চাত্য জীবন পাশ করিতে পারি নাই। ভারতের মজুর-সমাজ যতদিন পৰ্য্যন্ত না গুনতিতে বাড়িয়া যায় আর কৰ্ম্মগুণে মজবুত হয় ততদিন পৰ্য্যস্ত আমাদের পক্ষে আসল স্বরাজ আর ডেমোক্রেসি চাখা অসাধ্য সাধন । স্বদেশ-সেবকেরা, স্বরাজসাধকেরা মজুর-আন্দোলনটা পাকাইয়া তুলুন। মজুর-সংখ্যায় ভারত ও জুলিয়া গোটা ভারতে আজি মাত্র হাজার ছয়েক কারখানা আছে, তাতে অতিমাত্রায় ধরিলেও ১৫ লক্ষ মজুর খাটিতেছে। ইহা হইতেই বুঝিতে পরিবেন আমরা কোথায় আছি । আগে একবার বলিয়াছি, ইয়োরোপ ও আমেরিকা যে পথে চলিয়াছে, উন্নতি-হিসাবে, আদর্শ-হিসাবে, সভ্যতাহিসাবে, গতি-হিসাবে, জীবনের ভবিষ্যৎ-হিসাবে, ভারতবর্ষও ঠিক সেই পথে চলিয়াছে । পরাধীন ভারতে এবং স্বাধীন বিলাতে এক্ষেত্রে কোন প্রভেদ নাই। এখন প্রশ্ন এই, আমরা রহিয়াছি কোথায় ? আমার কাছে তার মাপও বাস্তব। ইংরেজ-সমাজে ৪॥• কোটি লোকের ভিতর যেখানে সত্তর-পচাত্তর লাখ কি এক কোটি মজুর, বাংলাদেশে ৪-৫ কোটি লোকের ভিতর সেখানে মাত্র চার লাখ মজুর। এখন তুলনা যদি করেন, দেখা যাইবে যে চার লাখের সঙ্গে সত্তর লাখ বা এক কোটি মজুরের যে সম্বন্ধ, গোট বাঙালী সমাজের সঙ্গে বিলাতী সমাজের ঠিক সেই সম্বন্ধ ।