বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २१ ) তত্ত্ব বা মতবাদের সাক্ষাৎ পাইবেন । আর এই মতবাদ জাতীয়-স্বার্থসাধন ও সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্ত আত্মম্ভরিতায় পরিপূর্ণ। “ইংরেজ এডমাণ্ড স্পেন্সার প্রণীত “ফেয়ারি কুইন” কাব্যগ্রন্থের ংযম-স্তোত্রে, ফরাসী মলেয়ার প্রণীত “লেতুদি^” নাট্যের রঙ্গরসাত্মক রচনায় বা জাৰ্ম্মাণ গ্যেটে প্রণীত “ফাউষ্ট” মহা কাব্যের “নাস্তিক অমুসন্ধিৎসায়” খাটী পাশ্চাত্য বলিয়া এমন কোনো পদার্থ নাই । ফান্সের প্রোভাস প্রদেশের ক্রবাছরগণ, মধ্য যুগের জাৰ্ম্মান মিনেসিঙ্গারগণ, ও ইংলণ্ডের মিনষ্টেল কবিগণ, ভারতের রাজপুত-মারাঠা চারণ-যোদ্ধা-ভাটগণের সহিত একাসনে বসিবার যোগ্য । “আমি আপনাদিগকে এই উপদেশ দিবার জন্য আসি নাই যে, জাৰ্ম্মানির পক্ষে ভারতবর্ষ ও প্রাচ্য জগৎ হইতে প্রকৃতির বাণী আমদানী করা আবশু্যক । আমি একথাও আপনাদিগকে শুনাইতেছি না যে, ভারতীয় নরনারীর জীবন বা চিন্তার ধারা, পাশ্চাত্য জীবন ও চিন্তাধারার চেয়ে অধিকতর নীতিনিষ্ঠাময় বা আধ্যাত্মিকতা-পূর্ণ ছিল। “আমার একমাত্ৰ কাৰ্য্য হইতেছে একটা মোট তথ্যের প্রতি আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা । শিল্পজগতে বিপ্লব সাধিত হইবার পূৰ্ব্বে অর্থাৎ ওয়াশিংটন, আডাম্ স্মিথ ও নেপোলিয়ানের সমসাময়িক যুগ পৰ্য্যন্ত, পাশ্চাত্য জগতে এমন কোনো রাষ্ট্রনৈতিক, আর্থিক বা বিচার সম্বন্ধীয় অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ছিল না যার প্রায় সমান সমান অথবা এমন কি একদম দোসর বা জুড়িদার-অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ভারতবর্ষেও দেখিতে পাওয়া ধাইত না । “আমি জগতের সমক্ষে এই কথা ঘোষণা করিতেছি যে, সমাজতত্ব শাস্ত্রের সংশোধন একমাত্র তখনই সম্ভবপর হইবে যখন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য এই উভয়েই ষে জীবন বা আদর্শ হিসাবে মূলতঃ একরূপ বা সমান এই