বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২৬ ) ও কলার আদর্শ বা উৎপ্রেরণা ইত্যাদি আবিষ্কার করা আজকালকার সমালোচকদের বাতিকে দাড়াইয়া গিয়াছে ।

  • শিল্প-সাহিত্যের গতি ও লক্ষ্য জগতের বিভিন্ন রেখায় বিভিন্ন প্রকারে দেখা দেয়, লোকজনকে এইরূপ চিন্তা করিতে শিখানো এই সকল সমালোচকদের স্বধৰ্ম্ম । সুকুমার শিল্পের ক্ষেত্রে মানুষে মামুষে এইরূপ ভাগাভাগি করা সব চেয়ে নিল্পজ্জ ভাবে দেখিতে পাই একটা তথাকথিত পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য মহলের মধ্যে বিভিন্নতা প্রচারে ।

“কিন্তু জগতের মহা মহা গ্রন্থগুলি পরীক্ষা করিলে আমরা কি দেখিতে পাই ? আমব দেখিতে পাই যে, হিন্দু পুরাণের বিশ্বামিত্ৰগণ গ্ৰীক সাহিত্যের প্রমেথেয়সগণের মতই দুনিয়াগ্রাসী বিরাট সংগ্রামে লিপ্ত । আর সেই সংগ্রাম চলিতেছে জগতের হৰ্ত্তাকর্তা বিধাতাদের বিরুদ্ধে । “অথৰ্ব্ববেদে পুরুষ নিজ উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিবৃত করিয়া পৃথিবী সম্বন্ধে বলিতেছে ৪— “অহমস্মি সহমান উত্তরোনাম ভূম্যাম, \ অভীষাড়স্মি বিশ্বাষাড় আশামশং বিশাষহি ।” পরাক্রমের মূৰ্ত্তি আমি সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ নামে আমায় জানে সবে ধরাতে । জেতা আমি বিশ্বজয়ী জন্ম আমার দিকে দিকে বিজয়কেতন উড়াতে । “এর চেয়ে বেশী তেজস্বী বা বিজিগীষাপুর্ণ কথা ইয়োরোপের কোনো যুগ-ধৰ্ম্মে বাহির হয় নাই। ল্যাটিন ভার্জিলের ঈনীডে এবং হিন্দু কালিদাসের রঘুবংশে বিশ্বসাহিত্যের রসিকেরা একই প্রকার দার্শনিক թրա T ಓವ್ಕ್