পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন 는 8 একটা আশুতোষ, একটা চিত্তরঞ্জন মরিয়া গেল, আর অমনি আমরা অনাথ ছেলেমেয়ের মত কান্নাকাটি মুরু করিলাম, এ অবস্থা কোন মতেই মানুষের অবস্থা নয় । স্বদেশে হাজার হাজার লোক একসঙ্গে, এমন কি পয়লা নম্বরের গণ্ড গণ্ডা লোক একসঙ্গে গড়িয়া তুলিবার সুযোগ নাই ; বিদেশে অভিযান না পাঠাইলে তাড়াতাড়ি কাজ হাসিল হইবে না, বিদেশের ফোয়ার থেকে বিদেশী দম্ভলের আমদানি হওয়া চাই হরদম, তাহা না হইলে দেশের লোক গুলো মজবুত হইবে না। “আশুতোষ, চিত্তরঞ্জন বৎসরে দু’একটা করিয়া মারা যাক, ট্যাকে আমাদের আরো রহিয়াছে”—এই চিন্তা আর এই অবস্থা যতক্ষণ পর্য্যন্ত না আসে ততক্ষণ পৰ্য্যন্ত এ জাতি মামুযের অবস্থা প্রাপ্ত হইবে না। কবে কালে-ভদ্রে একজন লোক ভাবুকতাপূর্ণ হৃদয় লইয়া একটা প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিবে, আর আমরা তীর্থের কাকের মত তার দিকে চাহিয়া বসিয়া থাকিব—এ অবস্থা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয় । পয়সা না থাকে, বিদেশে যাইতে না পার, ঝাপাইয় পড় সমুদ্রে । সাতার কাটিয়া জাপানে আমেরিকায় গিয়া হাজির হও, এখানে ওখানে যাইয়া ৫।৭ বৎসর ভবঘুর্যেগিরি কর । বি-এ, এম-এ পাশ করিয়াই বিদেশে গেলে চলিবে না । বি-এ, এম-এ পাশ করিয়া কি ফেল করিয়া —ফেল হইলে ও কুছপরোয় নাই—ব্যবসাদারী, এঞ্জিনিয়ারী, ওকালতীর অভিজ্ঞতা অর্জন কর, সেই অভিজ্ঞতা লইয়। যত বেশী লোক বিদেশে যাইতে পারে ততই ভারতের পক্ষে মঙ্গল । তাকেই বলি “বৃহত্তর ভারত ” গাড়ো অtডডা বিদেশে । বৃহত্তর ভারত গড়িয়া তোল অর্থাৎ ভারতের বাহিরে হাজার হাজার ভারতবাসীর কৰ্ম্মক্ষেত্র, বহুসংখ্যক ভারতীয় নরনারীর জীবনকেন্দ্র গড়িয়া তোলাই আমাদের স্বদেশী এবং স্বরাজ সাধনার অন্ততম বনিয়াদ | >W。